একজনের পিঠে গাঁথা হবে বর্শি। এরপর ঘোরানো হবে চরকে। সেই সঙ্গে হবে পূজা-অর্চনা। দুই বছর বন্ধ থাকার পর আবার এভাবে হতে চলেছে ঐতিহ্যবাহী চরক পূজা।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দুই বছর বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার দিনাজপুর সদর উপজেলার শেখপুরা ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে চরক পূজার আয়োজন করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গোপালপুর দুর্গা শিব মন্দির পূজা কমিটি চরক পূজার আয়োজন করে। কমিটির সদস্য সংখ্যা প্রায় দুই শ। চরক পূজায় কালী, শীতলা ও বুড়ি দেবীর পাশাপাশি যার পিঠে বর্শি গাঁথা হবে তারও পূজা করা হবে।
এ বছর শম্ভু রায় নামে একজনের পিঠে বর্শি গেঁথে চরকে ঘোরানো হবে।
আয়োজক কমিটির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এ বছর পূজা আয়োজনে ২৮ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এর মধ্যে শম্ভুকে পারিশ্রমিক হিসেবে দেয়া হবে পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকা।
কমিটির সভাপতি অজিত অধিকারী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার দাদুও বলতে পারে না এই পূজা কত বছর ধরে হচ্ছে। অনেক প্রাচীন পূজা এটি। করোনার কারণে প্রশাসনের নির্দেশে আমরা দুই বছর পূজা বন্ধ রেখেছিলাম।
‘এবার আবার পূজা হবে এবং মন্দিরের আশপাশে মেলা বসবে। আমরা মেলার সার্বিক নিরাপত্তার জন্য চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি।’
পূজা কমিটির নির্বাহী সদস্য মিহির রায় জানান, আগে গোপালপুরের তালতলায় চরক পূজা করা হতো। সেখানে জায়গা না হওয়ায় গোপালপুর দিঘন এস.সি উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনে এখন পূজা আয়োজন করা হয়। এবারও সেখানেই হবে। তিনজন ব্রাহ্মণ ও একজন মারেয়া মিলে পূজা পরিচালনা করবেন।
শেখপুরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পূজা কমিটি আমার কাছে একটি আবেদন দিয়েছে। আমরা মেলার নিরাপত্তার জন্য গ্রাম পুলিশ মোতায়েন করব। পূজা উদযাপনে কোনো ঝামেলা হবে না বলে আশা করছি।’