ইলেকট্রনিক যন্ত্রের মাধ্যমে ধূমপান বা ই-সিগারেটের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে দেশে এই সিগারেট নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা উন্নয়ন সমুন্নয়।
রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে সংগঠনটির আয়োজনে ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক নীতি-সংলাপে এ দাবি জানানো হয়।
সংলাপে মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান। তিনি বলেন, ‘দেশে ধূমপানের নির্ধারিত এলাকা বিলুপ্ত, বিক্রয়স্থলে তামাকপণ্য প্রদর্শন বন্ধ, তামাক কোম্পানির সিএসআর বন্ধ, প্যাকেট বা কৌটায় সচিত্র সতর্কবার্তার আকার বৃদ্ধি, খুচরা শলাকা ও মোড়কবিহীন বিডি-সিগারেট বিক্রি নিষিদ্ধ, ই-সিগারেট বা এইচটিপি নিষিদ্ধ করতে হবে।
‘এসব প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে ১৩ লাখ তামাক ব্যবহারকারীকে তামাক ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করাসহ ৯ লাখ তরুণকে তামাক ব্যবহার শুরু করা থেকে বিরত রাখা যাবে। একই সঙ্গে প্রায় সাড়ে চার লাখ প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের মৃত্যু রোধ করা যাবে এবং আরও প্রায় সাড়ে চার লাখ তরুণের অকালমৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে।’
সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেন, তামাকের অভিশাপ থেকে দেশকে রক্ষা করতে তামাকপণ্যের ওপর কার্যকর কর আরোপের পাশাপাশি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজন।
‘প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করার যে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন, সেখানে তামাকের ওপর করের কাঠামো ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সময়োপযোগী করে তুলতে হবে। এ জন্য সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।’
তামাক নিয়ন্ত্রণে সমাজিক আন্দোলনে জোর দেয়ার আহ্বান জানিয়ে সাংসদ শিরীন আখতার বলেন, ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি প্রয়োজনীয় পরিবর্ধন-পরিমার্জনের পর এটি নিয়ে প্রচার চালিয়ে জনগণকে এ বিষয়ে আরও সচেতন করে তোলার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।’
সবার অংশগ্রহণে তামাক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব উল্লেখ করে সাংসদ অ্যারোমা দত্ত বলেন, ‘নীতিনির্ধারকসহ সব অংশীজনকে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা বিবেচনায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণের বিষয়ে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।’
অন্যান্যের মধ্যে দেশের তামাকবিরোধী বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মীসহ অন্যান্য অংশীজন সংলাপে অংশ নেন।