নারায়ণগঞ্জের বন্দরে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উপজেলার শাহী মসজিদ কোর্টপাড়া এলাকা থেকে বুধবার দুপুরে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূর দেবরকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে পলাতক স্বামী অটোরিকশাচালক আতাউল্লা।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক সাহা এসব বিষয় নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, হত্যার পর মরদেহটি গুম করতে নির্জন স্থানে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল।
নিহত গৃহবধূর নাম জলি আক্তার আনিকা। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানার চর্চা তলা গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে। নারায়ণগঞ্জের বন্দরে স্বামী ও সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকতেন।
ওসি দীপক সাহা বলেন, ‘দুপুরে স্থানীয়রা মরদেহটি দেখে পুলিশকে খবর দেয়। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
‘ধারণা করা হচ্ছে, রাতে কোনো এক সময় আনিকাকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরে লাশ গুমের উদ্দেশ্যে বাড়ির পাশে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। আগুনে মরদেহের বিভিন্ন অংশে পুড়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনার পর থেকে ওই নারীর স্বামী আতাউল্লা পলাতক। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার ছোট ভাইকে আটক করা হয়েছে। আতাউল্লাকে আটক করতে অভিযান শুরু হয়েছে।’