রোদ পড়ছে বেশ, আছে গরম। হঠাৎ দু-চার ফোটা বৃষ্টিরও দেখা মেলে। এমনই ক্ষণে এসে গেল বৈশাখ। বৃহস্পতিবার বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিন। রাঙা রোদের শাসানিতে শুরু হতে যাচ্ছে ১৪২৯ বঙ্গাব্দ।
সার্বিক পরিস্থিতিতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ইঙ্গিত মিলছে, পয়লা বৈশাখ ঝলমলে রোদে দিনের শুরু হবে। মধ্যভাগে গরম থাকবে মোটামুটি। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে কমবে তাপমাত্রা। কমবে গরমও। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও বৃষ্টির সম্ভাবনা খুব কম। আর সামান্য বৃষ্টি হলেও তা স্থায়ী হবে খুব অল্প সময়ের জন্য।
করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর পয়লা বৈশাখ সেভাবে উদযাপন হয়নি দেশে। তবে এবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় বৈশাখ উদযাপনে নেয়া হচ্ছে প্রস্তুতি। নেয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই সময়ে ঢাকার স্বাভাবিক তাপমাত্রা থাকে ৩৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বুধবার দুপুর ১২টায় তাপমাত্রা ছিল ৩৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পয়লা বৈশাখ তাপমাত্রা ওঠা-নামার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই জানিয়ে তারা বলছে, ঢাকার তাপমাত্রা এখন স্বাভাবিক তাপমাত্রা থেকে কম আছে। পয়লা বৈশাখে তাপমাত্রা ৩৩ থেকে ৩৪ ডিগ্রির মধ্যে থাকবে। রোদ গত কদিন ধরে যেমন; এদিনও তেমনই থাকবে।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হাসান বুধবার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আগামী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু এবং রাজশহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘তবে ঢাকায় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। বৃষ্টি হলেও খুব অল্প সময়ের জন্য হবে। অনেক সময় ময়মনসিংহ অঞ্চলে বৃষ্টি হলে সেটা আস্তে আস্তে নিচের দিকে নেমে ঢাকা পর্যন্ত চলে আসে।’
রোদ, গরম, মেঘ আর বৃষ্টি নিয়ে অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী সবমিলিয়ে অনেকটা নিশ্চিত করেই বলা যায়, এবার রাঙা রোদের শাসানিতে আসছে বৈশাখ।