রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে কানাডার আউটসোর্সিং সেবার বাজার ধরার সুযোগ তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের সামনে।
উত্তর আমেরিকার দেশটি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, ডিজিটাল কনটেন্টসহ তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বেশির ভাগ সেবা ভারত, রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে আউটসোর্সিং করে থাকে। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের জন্য কানাডার আউটসোর্সিং বাজার ধরার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে কানাডা-বাংলাদেশ জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ অন স্ট্রেংদেনিং কমার্শিয়াল রিলেশনস-এর ভার্চুয়াল বৈঠকে এ তথ্য জানান কানাডা পক্ষের কো-চেয়ার নুজহাত তাম জামান।
এ সময় বাংলাদেশ পক্ষের কো-চেয়ার ও এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন জানান, বাংলাদেশে ছয় লাখের বেশি ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন। আউটসোর্সিংয়ের বিশ্ববাজারে তারা দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন।
এর আগে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে কানাডিয়ান কোম্পানির বিশ্বব্যাপী সুনাম রয়েছে। বাংলাদেশেও এ খাতে দেশটিকে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক ও ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্য সৈয়দ আলমাস কবির তার বক্তব্যে বাংলাদেশে সোলার প্যানেলের কারখানা স্থাপনে কানাডার প্রতি আহ্বান জানান।
বৈঠকে দুপক্ষই কানাডা-বাংলাদেশ বাণিজ্য বাড়াতে ট্রেড মিশন আদান-প্রদানের ওপর গুরুত্বারোপ করে।
বৈঠকে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর কানাডার থমাস টিমিন্স ও ওষুধশিল্পের ওপর বাংলাদেশের ড. ই এইচ আরেফিন আহমেদ প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্লাস্টিক গুডস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামিম আহমেদ, বাংলাদেশ জুট গুডস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি শহীদুল ইসলাম হেলাল, কানাডা-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি সভাপতি মাসুদ রহমান, সাস্কাচেওয়ান ট্রেড অ্যান্ড এক্সপোর্ট পার্টনারশিপ সভাপতি ক্রিস ডেকার, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুর রহিম খান, ঢাকায় কানাডিয়ান হাইকমিশনের ট্রেড কমিশনার কাজী গোলাম ফরহাদ এবং এফবিসিসিআই মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।