কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় হত্যা মামলায় এক জনের আমৃত্যু ও পাঁচ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক তাজুল ইসলাম আসামিদের উপস্থিতিতে বুধবার দুপুর ১টার দিকে এ রায় ঘোষণা করেন।
আদলতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আদালত আসামিদের ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে। রায় ঘোষণার পর তাদের পুলিশি পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া শিখা খাতুন ভেড়ামারা উপজেলার জুনিয়াদহ এলাকার মান্নানের মেয়ে। আর যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া আসামিরা হলেন দৌলতপুর উপজেলার ভুরকা গ্রামের সর্দ্দার, মজনু সর্দ্দার, মান্নান সর্দ্দার, ভেড়ামারা উপজেলার জুনিয়াদহ এলাকার রাজন বিশ্বাসের স্ত্রী আজমিরা খাতুন ও সাধু।
মামলার বরাতে পিপি অনুপ কুমার জানান, ২০১৬ সালের ৬ অক্টোবর রাতে কারও ফোন পেয়ে মাকে বন্ধুর বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন জুনিয়াদহ এলাকার রায়হান। পরদিন সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে তা বন্ধ পান মা মুক্তি খাতুন। পরে বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে জুনিয়াদহ পালপাড়া মাঠে মরদেহ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগ এনে রায়হানের বাবা শহিদুল ইসলাম ভেড়ামারা থানায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের নামে মামলা করেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের পর ২০১৭ সালের ৩০ ডিসেম্বর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। হত্যায় আসামিদের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়ায় আদালত এ রায় দেয়।
অনুপ কুমার বলেন, ‘রায়হানের সঙ্গে শিখা খাতুনের দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল। রায়হানের পরিবার এ সম্পর্ক মেনে না নেয়ায় শিখা খাতুনের পরিবারের সদস্যরা কৌশলে ডেকে রায়হানকে হত্যা করে।’