দুই বছর পর জমকালো আয়োজনে মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাইং উৎসব শুরু হয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদরের পানখাইয়া পাড়া মারমা উন্নয়ন সংসদের মাঠে বুধবার বেলা ১১টায় সাংগ্রাইং উৎসবের উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।
মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বালন শেষে বের করা হয় শোভাযাত্রা। শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে আগের স্থানেই ফিরে আসে শোভাযাত্রাটি। পরে মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী নৃত্যের সঙ্গে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। সাংগ্রাইং উৎসব উপলক্ষে জলকেলীরও উদ্বোধন করা হয়।
খাগড়াছড়ি সদর জোনের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম ও খাগড়াছড়ি রিজিয়নের স্টাফ অফিসার মেজর জাহিদ হাসান জলকেলীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
জলকেলীতে আসা শান্তা মারমা বলেন, ‘পুরো বছর অপেক্ষায় থাকি কখন সাংগ্রাইং আসবে। পানি খেলাসহ অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলায় বন্ধুরা মিলে অংশ নেব। করোনার কারণে দুই বছর এই উৎসব হয়নি। এবার খুব আনন্দ করে সাংগ্রাইং পালন করব।’
আসিং মারমা বলেন, ‘সাংগ্রাইং মারমা জাতির ইতিহাস, ঐতিহ্য ও ধর্মীয় সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত। কালের বিবর্তনে এটি এখন সামাজিক উৎসবে রূপ নিয়েছে। সবাই মিলে তাই আনন্দঘন পরিবেশে আনন্দ করব।’
মারমা উন্নয়ন সংসদের কেন্দ্রীয় সভাপতি মংপ্রু চৌধুরী বলেন, ‘বঙ্গাব্দের একদিন পর থেকে মঘাব্দ গণনা করা হয়। তাই অন্যান্য বছর পহেলা বৈশাখের দিন সাংগ্রাইং উৎসবের শুরু হলেও এবার আগেই তা হচ্ছে। সাংগ্রাইংয়ের জলকেলীর মাধ্যমে পুরনো বছরের দুঃখ, কষ্টকে মুছে দিয়ে নতুন বছর সুন্দরভাবে শুরু করা হয়। করোনার কারণে দুই বছর বন্ধ ছিল এর আনুষ্ঠানিকতা। এবার উৎসবে মাতোয়ারা সবাই।’