বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লালমাই পাহাড়ে বর্ণিল বৈসু

  •    
  • ১৩ এপ্রিল, ২০২২ ১২:৫৪

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ ইউএনও শুভাশিষ ঘোষ বলেন, ‘ত্রিপুরা পল্লিতে এসে খুবই ভালো লাগছে। বাংলা বর্ষবরণ আমাদের সংস্কৃতির অংশ। পাহাড়িদের এসব অনুষ্ঠান আমাদের সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রেখেছে। তাদের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম বৈসু।’

রঙিন শাড়ি পরে, হাতে কলা পাতায় করে নানা রঙের ফুল নিয়ে স্থানীয় নদী বা পুকুরে দলে দলে জড়ো হয় তরুণীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় পাড়ার পুরুষ ও শিশুরাও।

এভাবে বাংলা পুরোনো বছরের শেষ দিনে বৈসু উৎসবে বর্ণিল হয়ে ওঠে কুমিল্লার লালমাই পাহাড়।

বাংলা নববর্ষকে বরণ করতে চৈত্রের শেষ দিনে ফুল ভাসিয়ে, আনন্দ র‍্যালি, গান-নূপুরের ছন্দে, নেচে নেচে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা বৈসু উৎসবে মেতে ওঠেন।

করোনার কারণে গত দুই বছর এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়নি কুমিল্লা কোটবাড়ীর ত্রিপুরা পল্লিতে। তবে এ বছর হরেক রকমের পোশাক পরে, নিজেদের সাজিয়ে তারা উৎসবটি পালন করছেন। লালমাইয়ের পাহাড়ে ত্রিপুরা পল্লীর ঘরে ঘরে আজ বসেছে জমজমাট বৈসু উৎসবের আসর।

চৈত্রের শেষ দিনে ফুল ভাসিয়ে ত্রিপুরা তরুণ-তরুণীরা বৈসু উৎসবে মেতে ওঠেন। ছবি: নিউজবাংলা

বুধবার সকালে ত্রিপুরা পল্লিতে দেখা যায়, ঘরে ঘরে রান্না হয়েছে পাঁচন (হরেক রকম সবজির সংমিশ্রণ)। এ ছাড়া ব্যবস্থা রয়েছে লুচি ও নানান রকমের মিষ্টিজাতীয় খাবার।

সকাল ১০টার দিকে ত্রিপুরা তরুণ-তরুণীরা র‍্যালি নিয়ে আসে কোটবাড়ীর বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমিতে (বার্ড)। সেখানে পুকুরে তারা ফুল ভাসিয়ে উলুধ্বনি দিয়ে সম্পন্ন করেন গঙ্গা পূজা।

এ সময় র‍্যালিতে যোগ দেন সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশিষ ঘোষ ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাবলু।

ইউএনও শুভাশিষ ঘোষ বলেন, ‘ত্রিপুরা পল্লিতে এসে খুবই ভালো লাগছে। বাংলা বর্ষবরণ আমাদের সংস্কৃতির অংশ। পাহাড়িদের এসব অনুষ্ঠান আমাদের সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রেখেছে। তাদের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম বৈসু।

ত্রিপুরা পল্লির ঘরে ঘরে আজ বসেছে জমজমাট বৈসু উৎসবের আসর। ছবি: নিউজবাংলা

‘ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীকে এ উৎসব উদযাপনে উৎসাহিত করতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছি৷ এ ধরনের লোকজ অনুষ্ঠানগুলো উদযাপনে উপজেলা প্রশাসন সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।’

সালমানপুর ত্রিপুরা উপজাতি কল্যাণ সমবায় সমিতির সভাপতি সজীব চন্দ্র ত্রিপুরা বলেন, ‘আমরা প্রত্যেক বছর চৈত্রের শেষ দিনে এই উৎসব করি। এবারেও করেছি। গঙ্গা পূজার পরে আমাদের পল্লীতে বৃদ্ধস্নান অনুষ্ঠানের আয়োজন করি, এরপর করা হয় অতিথি আপ্যায়ন।

‘এভাবেই সারা দিন কাটে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। বিকেলে আমাদের ঘরে ঘরে সবাই নারায়ণ পূজা করে।’

এ বিভাগের আরো খবর