বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনে হামলা

  •    
  • ১৩ এপ্রিল, ২০২২ ০৮:৪০

আলমডাঙ্গা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, পুলিশের অনুমতি ছাড়াই বিএনপির কিছু নেতা-কর্মী সম্মেলন করছিলেন। এ সময় কিছু দুর্বৃত্ত তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার দুই ইউনিয়নে বিএনপির সম্মেলনে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। হামলায় স্থানীয় তিন নেতা আহত হয়েছেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।

আলমডাঙ্গার ডাউকি ও নাগদাহ ইউনিয়নে মঙ্গলবার বিকেলে ও সন্ধ্যায় এই হামলা চালানো হয়েছে বলে রাত ১১টার সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব শরীফুজ্জামান শরীফ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডাউকি ইউনিয়নে মঙ্গলবার বিকেলে ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন হয় হাউসপুরে জেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল জব্বার বাবলুর বাড়িতে। সেখানে হামলা চালান উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগের নেতারা। প্যান্ডেল ও শতাধিক চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। বিএনপি নেতা-কর্মীদের ১০টি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করেন তারা। এর আগে দুপুরে বিএনপি নেতা আব্দুল জব্বার বাবলুর স’মিলেও হামলা চালানো হয়।

শরীফুজ্জামান জানান, সন্ধ্যায় নাগদাহ ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন হয় জোড়গাছা গ্রামে বিএনপি নেতা শাহিন আলীর বাগানবাড়িতে। সেখানেও হামলা চালায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। ভাঙচুর করা হয় প্যান্ডেল ও চেয়ার-টেবিল। এ সময় আহত হন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর হোসেন, নাগদাহ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুর রশিদ হ্যাবা ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বোরহান উদ্দিন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।

আলমডাঙ্গা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাহিদ হাসান শুভ জানান, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার সালমুন আহাম্মদ ডন ও পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি নয়ন সরকারের নেতৃত্ব ৬টি মোটরসাইকেলে ১২ জন গিয়ে ডাউকি ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনে হামলা চালায়।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগ নেতা ডনকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

নাগদাহ ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনে হামলার বিষয়ে বিএনপির নেতা শাহিন আলী বলেন, ‘আমার বাগানবাড়িতে সন্ধ্যায় ইফতারের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন নেতা-কর্মীরা। এ সময় হঠাৎ আমাদের ওপর লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় নাগদাহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হায়াত আলীর নেতৃত্বে ২০ থেকে ৩০ জন। সম্মেলনের প্যান্ডেলসহ শতাধিক চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে তারা। পাঁচ শতাধিক মানুষের ইফতারের আয়োজন করা হয়েছিল। হামলায় বেশির ভাগই নষ্ট হয়ে গেছে।’

নাগদাহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হায়াত আলী বলেন, ‘আমরা সেখানে হামলা করিনি। মূলত বিএনপি ও যুবদলের মধ্যে গ্রুপিংয়ের কারণে ওই হামলার ঘটনা ঘটেছে।’

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, ‘বিএনপি কোনো ভাসমান দল নয়, মোকাবেলা করার শক্তি-সামর্থ্য বিএনপিরও আছে। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের প্রতিটি হামলার হিসাব রাখা হচ্ছে, সময়মতো সমুচিত জবাব দেয়া হবে। যত বাঁধাই আসুক সম্মেলন তথা দল পুনর্গঠনের কাজ অব্যাহত থাকবে। দুই ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনে নগ্ন হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ওই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, পুলিশের অনুমতি ছাড়াই বিএনপির কিছু নেতা-কর্মী সম্মেলন করছিলেন। এ সময় কিছু দুর্বৃত্ত তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। বিএনপির নেতা-কর্মীরা থানায় অভিযোগ বা মামলা করলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিভাগের আরো খবর