বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাজস্ব বাড়াতে ফেনসিডিল আমদানি চান আ.লীগ নেতা

  •    
  • ১২ এপ্রিল, ২০২২ ২১:৪৪

ফেনসিডিল আমদানির অনুমতি দিলে সরকারের রাজস্ব বাড়বে, বৈধ পথে ব্যবসার সুযোগ হলে মানুষও উপকৃত হবে বলে মনে করেন তিনি। বলেন, ‘এ বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে আনা যায় কি না? কারণ, ভারত থেকে যদি ৩৫ টাকায় ফেনসিডিল কিনে ৭০ টাকা ট্যাক্সও দেয়া যায়, তাহলেও ব্যবসা ভালো চলবে। দেশে এই ফেনসিডিলের মূল্য পাঁচ থেকে ৬০০ টাকা।’

লালমনিরহাটের এক আওয়ামী লীগ নেতা ভারত থেকে ফেনসিডিল এনে ২০০ শতাংশ কর নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। তার দাবি, এতে নেশার কিছু হয় না। জানান, তিনি ভারতে গিয়ে এক বোতল পান করেছেন, তার ঘুম ঘুম অনুভূতি ছাড়া আর কিছুই হয়নি। দাবি, ভারতের চিকিৎসক তাকে বলেছেন, এতে ক্ষতি কিছুই হয় না।

সোমবার দুপুরে জেলার আদিতমারী থানা আয়োজিত ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠানে লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানার উপস্থিতিতে এ বক্তব্য দেন তিনি। পরদিন তার বক্তব্যের ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে তুমুল আলোচনা তৈরি হয়।

প্রস্তাবটি তোলা আওয়ামী লীগ নেতা হলেন সারপুকুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম প্রধান। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তবে এখন পদে নেই।

ফেনসিডিল আমদানির দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা আজিজুল ইসলাম প্রধান। ছবি: সংগৃহীত

সভায় উপস্থিত পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণও করেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।

তার প্রস্তাবের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ফেনসিডিলের কারণে প্রতিদিন হাজার কোটি টাকা ভারতে পাচার হচ্ছে। শত শত মোটরসাইকেল সীমান্তে যাচ্ছে ফেনসিডিল খাইতে। তাহলে প্রতিদিন যদি এভাবে ফেনসিডিল খায় সে ক্ষেত্রে আমদানি করে রাজস্ব আয় বাড়াতে পারে।’

ফেনসিডিল আমদানির অনুমতি দিলে সরকারের রাজস্ব বাড়বে, বৈধ পথে ব্যবসার সুযোগ হলে মানুষও উপকৃত হবে বলে মনে করেন তিনি। বলেন, ‘এ বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে আনা যায় কি না? কারণ, ভারত থেকে যদি ৩৫ টাকায় ফেনসিডিল কিনে ৭০ টাকা ট্যাক্সও দেয়া যায়, তাহলেও ব্যবসা ভালো চলবে। দেশে এই ফেনসিডিলের মূল্য পাঁচ থেকে ৬০০ টাকা।’

আজিজুল জানান, তার তিন ছেলে মাস্টার্স পাস করেছে। তারা নিয়মিত ফেনসিডিল পান করে। তাদের অনেক নিষেধ করলেও তারা কথা শোনে না বরং তারা এ কাজে আরও বেশি উৎসাহী হয়ে উঠছে।

ফেনসিডিল সেবনে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে আজিজুল বলেন, ‘আমি ভারতে গিয়েও নিজে এক বোতল ফেনসিডিল খেয়েছি। সে ফেনসিডিল খেয়ে ঘুম ছাড়া কিছুই হয় না।’

আজিজুলের বক্তব্যের যে ভিডিও ছড়িয়েছে, তাতে তিনি বলেন, ‘আমি সত্য কথা বলব তাতে আমার জেল ফাঁসি যা হয় হোক। ভারতে ফেনসিডিল বিক্রয় করে মাত্র ৩৫ টাকা। আর এই ফেনসিডিল বাংলাদেশে বিক্রি হয় পাঁচ হতে ৬০০ টাকা। ফেনসিডিলের কারণে প্রতিদিন হাজার হাজার কোটি টাকা ভারতে পাচার হচ্ছে।

‘ভারতে গিয়ে আমিও এক বোতল ফেনসিডিল খেয়েছি। তাতে ঘুম ছাড়া কিছু হয় না এবং ভারতের ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা বলেন এটি বাংলাদেশের তুসকা সিরাপের মতোই। যাতে ঘুম ছাড়া কিছু নেই।’

সেই সভায় উপস্থিত অন্যরা আজিজুলের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান। কৌশলে তার বক্তব্য থামিয়ে দেন অনুষ্ঠানের সভাপতি ও আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোক্তারুল ইসলাম।

মোক্তারুল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা। সেখানে জেলার পাঁচ উপজেলায় পাঁচটি ঘর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপহার দেন। ওই অনুষ্ঠানে সারপুকুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম প্রধানও উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান চলাকালীন তাকে বক্তব্য দিতে দিলে তিনি এসব কথা বলা শুরু করলে পরে তার বক্তব্য থামিয়ে দেয়া হয়।’

এ বিভাগের আরো খবর