বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পুরান ঢাকায় ‘নিয়ম রক্ষার’ হালখাতা

  •    
  • ১২ এপ্রিল, ২০২২ ২০:২৭

করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর আশানুরূপ ব্যবসা হয়নি। সেজন্য এবার হালখাতা উৎসবে তেমন আগ্রহ নেই পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীদের। তারা বলছেন, প্রতি বছরের মতো এবারও হালখাতা উৎসবের আয়োজন করা হবে। তবে তা কেবল নিয়ম রক্ষার জন্য।

বাংলা নববর্ষের আগমনী দিন পহেলা বৈশাখ। দিনটি ঘিরে বাঙালি জাতি মেতে ওঠে সার্বজনীন উৎসবে। নানা আয়োজনে বরণ করা হয় দিনটি। এর মধ্যে অন্যতম হালখাতা উৎসব। বিশেষত পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীরা জাঁকজমকপূর্ণ হালখাতার আয়োজন করে থাকে।

পুরনো হিসাবের খাতা বন্ধ ও নতুন হিসাবের খাতা খোলার আনন্দ-আয়োজন, সঙ্গে আপ্যায়ন ও আনুষ্ঠানিকতার নামই হালখাতা। যুগ যুগ ধরে এমনটাই চলে আসছে।

করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর আশানুরূপ ব্যবসা হয়নি। সেজন্য এবার হালখাতা উৎসবে তেমন আগ্রহ নেই পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীদের। তারা বলছেন, প্রতি বছরের মতো এবারও হালখাতা উৎসবের আয়োজন করা হবে। তবে তা কেবল নিয়ম রক্ষার জন্য।

সাধারণত হালখাতা উৎসবকে কেন্দ্র করে ফুল দিয়ে সাজানো হয় দোকান। তবে এ ধরনের কোনো পরিকল্পনা এবার নেই বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

মঙ্গলবার পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজার, তাঁতিবাজার, শ্যামবাজার ও বাবুবাজারের বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

শাঁখারী বাজারের ব্যবসায়ী বিয়ের সামগ্রী বিক্রেতা কার্তিক চন্দ্র দাশ বলেন, ‘গত দুই বছর করোনা মহামারির কারণে তেমন বেচা-বিক্রি হয়নি। তাই হালখাতা করে তেমন লাভ হবে না। তাই বড় আয়োজনে হালখাতা করার কোনো পরিকল্পনা নেই।

‘হালখাতা করা হয় সাধারণত আগের বিক্রির বকেয়া টাকা আদায়ের উদ্দেশ্যে। গত দুই বছর তেমন বিক্রিই হয়নি। তাই বাকি টাকা আদায়ের সম্ভাবনাও নেই।’

তাঁতিবাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী ঝন্টু ধরও একই ধরনের মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘গত দুই বছর লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে স্বর্ণের দাম। তাই খুব বেশি প্রয়োজন না হলে কেউ স্বর্ণ কেনেনি। এ কারণে আমাদের ব্যবসার অবস্থা করুণ। এর মধ্যে বাড়তি টাকা খরচ করে আমরা হালখাতা উৎসব করতে চাই না। নিয়ম রক্ষার জন্য আগের দিন (বৃহস্পতিবার) রাতে দোকান ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করবো। সকালে নতুন খাতা খোলার মাধ্যমে বেচা-বিক্রি শুরু করবো। যদি কেউ আসে তাকে অবশ্যই মিষ্টিমুখ করাবো।’

শ্যামবাজারের আড়তদার মৃধা শেখ বলেন, ‘আমরা পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীরা ঐতিহ্য অনুযায়ী প্রতিবছর হালখাতা করি। এবারও করবো। তবে তা শুধুই ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য। কারণ গত দুই বছর ধরে ব্যবসায় মন্দা।’

বাবুবাজারের মিষ্টি ব্যবসায়ী কার্তিক চন্দ্র দাশ বলেন, ‘সাধারণত প্রতি বছর আমরা হালখাতা উৎসব করি। এবারও করবো। তবে আগের মতো বড় আকারে করবো না।’

কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মূলত দুটি কারণে এবার বড় আয়োজন করবো না। প্রথমত,, ব্যবসায় মন্দা। দ্বিতীয়ত, এ উৎসব নিয়ে মানুষের আগ্রহ কমে যাওয়া।’

নতুন বাংলা বছর শুরুর দিনে হালখাতা উৎসব আয়োজন করা হয়। দেশে পহেলা বৈশাখের উৎসব আয়োজন করা হবে আগামী বৃহস্পতিবার। তবে পুরান ঢাকায় হালখাতা উৎসব অনুষ্ঠিত হবে পরদিন শুক্রবার।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৫৮৪ সালে মুঘল সম্রাট আকবর বাংলা সন প্রবর্তনের পর মূলত হালখাতার প্রচলন হয়।

এ বিভাগের আরো খবর