বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দক্ষিণ সিটির তিন মার্কেটে দোকান বরাদ্দের লটারি

  •    
  • ১২ এপ্রিল, ২০২২ ২০:০০

ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-১ এ ২০০৪ সালে ৮২টি দোকান বরাদ্দের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলে দেখা যায় সেখানে ৮২টি আবেদনপত্র জমা পড়ে। পরে করপোরেশন আবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। দোকান মালিকরা রিট করলে হাইকোর্ট দেয় স্থগিতাদেশ। সেই ৮২ জন দোকান মালিক তখন থেকেই দোকানগুলো ভোগ দখল করতে থাকে এবং দোকানগুলো হতে করপোরেশন রাজস্ব আয় বঞ্চিত হতে থাকে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-১, ঢাকেশ্বরী রোড সাইড মার্কেট এবং গোলাপবাগ মাঠ দর্শক গ্যালারি মার্কেটে দোকান বরাদ্দের লটারি হয়েছে।

বাংলাদেশ মাঠ নির্মাণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৩ ব্যবসায়ীকে ঢাকেশ্বরী রোড সাইড মার্কেটে দোকান বরাদ্দের লক্ষ্যে মঙ্গলবার দুপুরে নগর ভবনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে এই লটারি হয়।

গোলাপবাগ মাঠ দর্শক গ্যালারি মার্কেটে ৪৩টি দোকান এবং ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-১ এ ৮২টি দোকান বরাদ্দের পাশাপাশি বাংলাদেশ মাঠ দর্শক গ্যালারি মার্কেটটির আধুনিকায়নের ফলে সেখানকার ক্ষতিগ্রস্ত ৩৩ জন ব্যবসায়ীকে স্থানান্তরসহ ঢাকেশ্বরী রোড সাইড মার্কেটে মোট ৬২টি দোকান বরাদ্দ দেয়া হবে এই লটারির মাধ্যমে।

দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ‘লটারির বিপরীতে যারা দোকান বরাদ্দ পেয়েছেন, আমরা অতি দ্রুত তাদেরকে দোকান বুঝিয়ে দেবো। তারা দ্রুত দোকান বুঝে নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করতে পারবেন। করপোরেশন এখন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দোকান বরাদ্দ, জামানতের অর্থ ফেরত দেয়া এবং মার্কেট নির্মাণের বিষয়ে নীতিগতভাবে দৃঢ় প্রত্যয়ী।’

ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-১ এ ২০০৪ সালে ৮২টি দোকান বরাদ্দের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলে দেখা যায় সেখানে ৮২টি আবেদনপত্র জমা পড়ে। সেটি অস্বাভাবিক মনে হলে করপোরেশন আবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। তখন দোকান মালিকরা করপোরেশনের বিরুদ্ধে ২০০৬ সালে রিট করেন। তখন হাইকোর্ট করপোরেশনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও সংক্রান্ত কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করে।

পরে ৮২ জন দোকান মালিক যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই তাদের দোকানগুলো বুঝে নেয়। ফলে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ ছাড়ায় সেই দোকানগুলো দীর্ঘদিন ধরে তারা ভোগ দখল করতে থাকে এবং দোকানগুলো হতে করপোরেশন রাজস্ব আয় বঞ্চিত হতে থাকে।

এই অবস্থায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র রিট আবেদনটি খারিজের উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং সেসব দোকান বরাদ্দে যথাযথ ও আইনত বৈধ পন্থা অবলম্বনের নির্দেশ দেন।

নির্দেশনার আলোকে সেই ৮২ জন দোকানদারের মাঝেই দোকানগুলো বরাদ্দ দেয়ার লক্ষ্যে লটারির আয়োজন করা হয়। এতদিন ভোগ করা সময়ের ভাড়ার পুঞ্জিভূত অর্থ পরিশোধ সাপেক্ষে তাদেরকে লটারিতে প্রাপ্ত দোকান বুঝিয়ে দেয়া হবে।

অনুষ্ঠানে বরাদ্দগ্রহীতাসহ দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর শিরিন গাফফার উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর