পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ফুল বিজু উৎসবে শামিল হয়ে উপাচার্য (ভিসি) ড. মো আখতারুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের পুকুরে ভাসিয়েছেন ফুল।
মঙ্গলবার সকালে তিনি জগন্নাথ হলে এ উৎসবে যোগ দেন। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাতেও অংশ নেন ভিসি।
‘বৈচিত্র্যের শক্তিতে বিকশিত হোক জুম ভাষা ও সংস্কৃতি’ স্লোগান নিয়ে এবারের বিজু উৎসব করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জুম সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংসদ। তাদের আয়োজন করা উৎসবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুল বিজু উৎসবের র্যালি ও সমাবেশ। ছবি: নিউজবাংলা
ভিসি আখতারুজ্জামান বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে একটি আধুনিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ বিনির্মাণের জন্য প্রতিটি জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও চর্চা করতে হবে।
‘প্রতিটি উৎসবের মানবিক আবেদন আছে। তাৎপর্যময় এই সংস্কৃতিগুলো মানুষের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তিনি শিক্ষার্থীদের জানান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ত্রিপুরাদের বৈসু, মারমাদের সাংগ্রাই, ম্রোদের চানক্রান, খিয়াংদের সাংগ্রান, খুমিদের সাংক্রাই, চাকমাদের বিজু ও তঞ্চঙ্গ্যাদের বিষুর আদ্যাক্ষর নিয়ে দাঁড়িয়েছে ‘বৈসাবি’। তাই অনেকে এ উৎসবকে সম্মিলিতভাবে বৈসাবি বলে থাকেন।
বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ পানিতে ফুল ভাসিয়ে ঐতিহ্যবাহী এই উৎসব উদযাপন করেন। তারা বিশ্বাস করেন, এই ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে পুরোনো বছরের গ্লানি মুছে গিয়ে নতুন বছর বয়ে আনে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি।
উপাচার্য চাকমা, ত্রিপুরা, মারমা, তঞ্চঙ্গ্যা, ম্রো, অহমিয়া আদিবাসী সম্প্রদায়সহ সকলের সুখ, শান্তি, মঙ্গল ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা, জুম সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি রাতুল তঞ্চঙ্গ্যা, সাধারণ সম্পাদক নুথোয়াই মার্মাসহ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।