বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাষ্ট্রবিরোধী কাজে উসকানির জন্য বিনিয়োগ হচ্ছে: কাদের

  •    
  • ১২ এপ্রিল, ২০২২ ১৭:১৯

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘কে, কোথায় সভা করছে, কাকে টাকা দিচ্ছে সেসব তথ্য সরকারের কাছে আছে। কারা কর ফাঁকি দিয়ে ব্যবসা করে আবার দুর্নীতিবাজ নেতৃত্বের জন্য অবৈধ উপায়ে অর্থ পাঠাচ্ছে- সব খবরই আছে। এসব অপরাধী কেউই ছাড় পাবে না।’

সরকারের বিরোধিতার নামে রাষ্ট্রবিরোধী কাজে উসকানির জন্য দুর্নীতিলব্ধ অর্থ বিনিয়োগ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলটির অনেক নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) যে তথ্য বা অভিযোগ আছে সে ব্যাপারেও দুদক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

মঙ্গলবার তার বাসভবনে অনলাইন ব্রিফিংয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘কে, কোথায় সভা করছে, কাকে টাকা দিচ্ছে সেসব তথ্য সরকারের কাছে আছে। কারা কর ফাঁকি দিয়ে ব্যবসা করে আবার দুর্নীতিবাজ নেতৃত্বের জন্য অবৈধ উপায়ে অর্থ পাঠাচ্ছে, সব খবরই আছে। এসব অপরাধী কেউই ছাড় পাবে না।’

বিএনপি নেতারা দুদকে গিয়ে যে মহড়া দিয়েছেন তা নিজেদের দুর্নীতি ও ব্যর্থতা আড়ালের অপচেষ্টা বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘বিএনপির কথিত আন্দোলন আর অভ্যুত্থানের রঙিন খোয়াব ভেঙে যাওয়ায় জনগণের নজর এখন ভিন্ন দিকে নিতে চায়। কর্মী-সমর্থকদের রোষানল থেকে বাঁচতেই বিএনপি নেতারা দুর্নীতির তথ্য দেয়ার নামে নাটকীয়তার আশ্রয় নিচ্ছেন।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বিএনপি মহাসচিবের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘নিজ দলের অপরাধী, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আপনাদের অবস্থান কী? সাহস থাকলে তাদের তালিকা দিন। বিদেশে বিলাসী জীবনের রসদ কোথা থেকে আসছে তার হিসাব জমা দিন।’

যে দলের চেয়ারপারসন দুর্নীতির দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি, যাদের শাসনামলে দেশকে পরপর ৫ বার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কলঙ্কতিলক পরতে হয়েছিল, সেই আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত বিএনপি যখন দুর্নীতি নিয়ে কথা বলে তখন মানুষের হাসি পায় বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হওয়া তথ্য তুলে ধরে বলেন, ‘তারেক রহমানের পাচার করা ১২ কোটি টাকা জব্দ করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিস। আওয়ামী লীগ সরকার ২০১২ সালে সে টাকা দেশে ফেরত আনে। বাংলাদেশ কোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালে সিঙ্গাপুর সরকার পাচার করা ৮ কোটি টাকা ফেরত দেয়।’

ওবায়দুল কাদের আরও জানান, তারেক রহমান ও তার ব্যবসায়িক পার্টনার গিয়াসউদ্দিন আল মামুন সিটিএনএ ব্যাংকে ২১ কোটি টাকা পাচার করে। এফবিআই এ ব্যাপারে তদন্ত করেছে এবং বাংলাদেশের আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছে। শুধু তাই নয়, লন্ডনের একটি ব্যাংকে প্রায় ৬ কোটি টাকা পাওয়া যায় তার ব্যাংক হিসাবে। অথচ তারাই এখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে বড় বড় কথা বলেন।’

দুদক স্বাধীনভাবে কাজ করছে দাবি করে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, সরকারি দলের বিরুদ্ধেও দুদকের কাজ করতে কোনো বাধা ছিল না এবং এখনও নেই।

তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অন্য যে অভিযোগ আছে সেগুলোরও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।

এ বিভাগের আরো খবর