বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এবার রপ্তানিতে চমক বিশেষায়িত টেক্সটাইল খাতের

  •    
  • ১২ এপ্রিল, ২০২২ ১৫:৩৭

এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে আড়াই গুণেরও বেশি। শতাংশ হিসাবে আয় বেড়েছে ১৫০ দশমিক ৬২ শতাংশ। আর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় বেড়েছে ১২৯ শতাংশ।

তৈরি পোশাকের মতো স্পেশালাইজড বা বিশেষায়িত টেক্সটাইল পণ্য রপ্তানির পালেও হাওয়া লেগেছে। চলতি অর্থবছরের নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) এই খাত থেকে ২৫ কোটি ৭৪ লাখ ১০ হাজার ডলারের বিদেশি মুদ্রা দেশে এসেছে।

বর্তমান বিনিময় হার (প্রতি ডলার ৮৬ টাকা ২০ পয়সা) হিসাবে টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ ২ হাজার ২১৯ কোটি টাকা।

এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে আড়াই গুণেরও বেশি। শতাংশ হিসাবে আয় বেড়েছে ১৫০ দশমিক ৬২ শতাংশ। আর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় বেড়েছে ১২৯ শতাংশ।

বিস্ময়কর তথ্য হচ্ছে, ২০২১-২২ অর্থবছরের পুরো সময়ে (১২ মাস, গত বছরের জুলাই থেকে এই বছরের জুন) এই খাত থেকে ১৫ কোটি ডলার আয়ের লক্ষ্য ধরেছে সরকার; কিন্তু তিন মাস বাকি থাকতে, নয় মাসেই (জুলাই-মার্চ) সেই লক্ষ্যের চেয়েও ৭১ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি আয় এসেছে।

আগামী দিনগুলোতেও এই উল্লম্ফন অব্যাহত থাকবে বলে আশার কথা শুনিয়েছেন এ খাতের রপ্তানিকারকরা।

গত ২০২০-২১ অর্থবছরে বিশেষায়িত টেক্সটাইল পণ্য রপ্তানি থেকে ১৩ কোটি ৯ লাখ ডলার আয় করেছিল বাংলাদেশ। ওই অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে আয় হয়েছিল ১০ কোটি ২৭ লাখ ১০ হাজার ডলার।

আর চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে এ খাত থেকে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১ কোটি ২৪ লাখ ১০ হাজার ডলার।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে বিশেষায়িত টেক্সটাইল পণ্য রপ্তানি থেকে যে ২৫ কোটি ৭৪ লাখ ১০ হাজার ডলার দেশে এসেছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় এসেছে নিট কাপড় রপ্তানি থেকে। এই কাপড় রপ্তানি থেকে ১৮ কোটি ৪৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৫৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেশি।

বিশেষ ওভেন কাপড় রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ২ কোটি ৪৮ লাখ ডলার; প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। আর টেরিটাওয়েলের রপ্তানি থেকে এসেছে ৩ কোটি ৫২ লাখ ১০ হাজার ডলার; বেড়েছে ২২ দশমিক ৭৩ শতাংশ।

এ ছাড়া এ খাতের অন্যান্য পণ্য রপ্তানি করে এসেছে ১ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার ডলার। এই অন্যান্য পণ্যের মধ্যে রয়েছে শাড়ি, লুঙ্গি, গামছাসহ আরও কিছু প্রচলিত পণ্য।

দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাকশিল্পের দুই উপখাত নিট ও উভেন পোশাকের কাঁচামাল বা ফেব্রিক (কাপড়) জোগান দেয়া ছাড়াও সরাসরি ফেব্রিক ও টেরিটাওয়েল রপ্তানিও করে থাকেন স্পেশালাইজড টেক্সটাইল উদ্যোক্তারা।

এ খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ স্পেশালাইজড টেক্সটাইল মিলস অ্যান্ড পাওয়ার লুম ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসটিএমপিআইএ) সভাপতি হালিম নিট ফ্যাশনস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আজিজুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মহামারি করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর বিশ্ববাজারে তৈরি পোশাকের চাহিদা বেড়েছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আমাদের স্পেশালাইজড টেক্সটাইল পণ্য রপ্তানিও বেড়েছে। যতদিন তৈরি পোশাকের রপ্তানি রমরমা থাকবে, ততদিন আমাদের পণ্য রপ্তানিও বাড়বে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা মূলত আমাদের কারখানায় উৎপাদিত কাপড় নিট ও ওভেন পোশাক রপ্তানিকারকদের জোগান দিয়ে থাকি। সেই কাপড় থেকে পোশাক তৈরি করে তারা রপ্তানি করে। এর বাইরেও আমাদের বেশ কিছু কারখানা সরাসরি কাপড়ের পাশাপাশি শাড়ি, লুঙ্গি ও গামছা রপ্তানি করে থাকে।’

বিএসটিএমপিআইএ’র সহসভাপতি মহিউদ্দিন স্পেশালাইজড টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের কর্ণধার শেখ আব্দুল হাকিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বেশ কিছুদিন পর আমাদের রপ্তানিতে সুবাতাস এসেছে। আমরা এই ইতিবাচক ধারা ধরে রাখতে চাই। সরকারের সহায়তা পাওয়া গেলে এই খাত থেকে আমরা আরও বেশি বিদেশি মুদ্রা দেশে আনতে পারব।’

‘করোনার ধাক্কা সামলে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছি। এই মুহূর্তে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম সরকার না বাড়ানোয়।’

আব্দুল হাকিম বলেন, ‘আমাদের দেশের শাড়ি, লুঙ্গি ও গামছার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। মূলত বিদেশে থাকা বাংলাদেশিরাই এর আসল ক্রেতা। রঙে, ডিজাইনে ও গুণগত মানে ভালো হওয়ায় মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য, ‍যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী প্রবাসীরা এগুলো কিনে থাকেন।’

‘সোয়া কোটি প্রবাসী বিভিন্ন দেশে বসবাস করেন। তাদের পছন্দমতো যদি এই পণ্যগুলো রপ্তানি করা যায়, তাহলে আরও বেশি বিদেশি মুদ্রা দেশে আসবে।’

ইপিবির তথ্যে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে পণ্য রপ্তানি থেকে মোট ৩৮ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে তৈরি পোশাক (নিট ও ওভেন) রপ্তানি থেকে এসেছে ৮১ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন ডলার। যা মোট রপ্তানির ৮১ দশমিক ৫০ শতাংশ।

এ বিভাগের আরো খবর