চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ধর্মঘট ডেকেছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকরা।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় এক অটোরিকশার মালিককে আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে ক্যাম্পাসে অটোরিকশা চালানো বন্ধ রাখেন চালকরা।
নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয় অটোরিকশাচালক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম বলেন, ‘আমাদের একজনকে পুলিশ আটক করেছে। এর প্রতিবাদে অটোরিকশা চালানো বন্ধ রাখা হয়েছে। তাকে না ছাড়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসে অটোরিকশা চলবে না।’
এ দিকে অটোরিকশা বন্ধে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বাস চালুর দাবি করেছেন। একই সঙ্গে তারা অভিযোগ করেন, এই সুযোগে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় ভাড়া বেশি নিচ্ছেন চালকরা।
ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী এমরান আশিক বলেন, ‘ক্যাম্পাসে অটোরিকশা ও রিকশাচালকদের যাচ্ছেতাই আচরণের লাগাম টানতে চক্রাকার বাস সার্ভিস চালু এখন সময়ের দাবি।’
রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী সৌরভ মল্লিক বলেন, ‘রেলক্রসিং এলাকা থেকে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ভাড়া ত্রিশ টাকা। কিন্তু ধর্মঘটের কারণে বাধ্য হয়ে সত্তর টাকা ভাড়া দিতে হচ্ছে। চালকরা শিক্ষার্থীকে মারবে আবার বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থা নিলে অটোরিকশা চলাচল বন্ধ রেখে আমাদের দুর্ভোগে ফেলবে এমনটা হতে পারে না।’
এ ঘটিনায় একাধিক শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ঘটনার প্রতিবাদ করে বাস চালুর দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘সিএনজি মালিক সমিতির কেউ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। আমরা বিষয়টা দেখছি। শিক্ষার্থীকে মারধরের বিষয়ে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি।’
হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা কাউকে গ্রেপ্তার করিনি। সোমবারের ঘটনায় অভিযুক্ত অটোরিকশার মালিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় এনেছি। তিনি এখনও থানায় আছেন।
‘তবে অভিযুক্ত চালক এখনও পলাতক আছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অভিযোগ বা মামলার অপেক্ষায় আছি।’
এর আগে সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর রেলক্রসিং এলাকায় অটোরিকশার চালকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রকে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করেন সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মীরা।
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা জানান, গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী রাউফুন প্রামাণিক ও অর্থনীতি বিভাগের ফয়সালকে সঙ্গে এক অটোরিকশাচালকের ভাড়া নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ওই দুই ছাত্রকে চালকরা মারধর করেন।