সাতক্ষীরার তালায় স্বামীর লিঙ্গ কেটে ফেলার অভিযোগে স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ।
পাটকেলঘাটা থানার ভারসা গ্রামে সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। আহত মেহেদি হাসান সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পাটকেলঘাটা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বাবলুর রহমান খান নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মেহেদি হাসানের বাবা নওয়াব আলী জানান, ৭ বছর আগে তার ছেলে মেহেদি হাসানের সঙ্গে একই থানার বকশিয়া গ্রামের সাজ্জাদ মোড়লের মেয়ে শারমিন বেগমের বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের ঘরে ৪ বছরের একটি পুত্রসন্তান আছে।
পরিবারের বরাতে এক প্রতিবেশী বলেন, ‘মেহেদির সঙ্গে স্ত্রী শারমিনের প্রায়ই ঝগড়া হতো। অন্য নারীর সঙ্গে মেহেদির বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কের সন্দেহের জেরে এমনটা হতো বলে শুনেছি। কয়েক দিন ধরে মেহেদি দ্বিতীয় বিয়ের হুমকি দেয়ায় তারা স্বামী-স্ত্রী আলাদা থাকছিলেন।
‘সোমবার রাতে মেহেদিকে তার স্ত্রী একসঙ্গে ঘুমানোর জন্য বলেন। একসঙ্গে রাতে ঘুমিয়ে পড়লে ছুরি দিয়ে স্বামীর লিঙ্গ কেটে ফেলেন শারমিন। পরে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।’
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘মেহেদির পুরুষাঙ্গের ৭০ শতাংশ কেটে গেছে। তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’
পরিদর্শক বাবলুর রহমান খান বলেন, ‘ঘটনার পর শারমিনকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা থানায় একটি এজাহার দিয়েছেন।’