বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে বিজুর উৎসবে ঢল

  •    
  • ১২ এপ্রিল, ২০২২ ১৩:২০

পিয়া চাকমা বলেন, ‘অতীতের সমস্ত গ্লানি মুছে যাক, সবার মাঝে শান্তি বিরাজ করুক এ প্রত্যাশায় নদীতে ফুল ভাসাতে আসছি। দুই বছর পর এ উৎসবে অংশগ্রহণ করে খুবই ভাল লাগছে।’

হাতে কলা পাতা ও বাহারি রঙের ফুলের সমারোহ। রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে ঐতিহ্যবাহী পোশাকে এ ফুল ভাসাতে জড়ো হচ্ছেন পাহাড়ের তরুণ-তরুণীরা। ফুল ভাসানোর মাধ্যমেই যেন আমন্ত্রণ জানানো হবে নতুন বছরকে।

রাঙ্গমাটি পরওয়েল পার্কের কাপ্তাই হ্রদে মঙ্গলবার সকালে ফুল ভাসিয়ে বিজুকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘হিলর প্রোডাকশন।’ ফুল ভাসানোর এ উৎসবে অংশ নেন প্রায় দুই শতাধিক আদিবাসী তরুণ-তরুণী।

পুরনো গ্লানি কাটিয়ে পাহাড়ের এ উৎসবকে কেন্দ্র করে আনন্দের উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়েছে সবার মধ্যে। পাহাড়ি জনগণের প্রাণের এ উৎসবে প্রতি বছর সম্মিলন ঘটে পাহাড়ে বসবাসকারী সব জাতিগোষ্ঠী মানুষের।

প্রথম দিনের নদীতে ফুল বিসর্জনকে চাকমারা ফুলবিজু, মারমারা পাইংছোয়াই, ত্রিপুরারা হারিবৈসুক বলে থাকেন।

দ্বিতীয় দিনকে অর্থাৎ মূল উৎসবটিকে চাকমারা মূলবিজু, মারমারা সাংগ্রাইং আক্যা, ত্রিপুরারা বৈসুকমা এবং তৃতীয় দিন চাকমারা গোজ্জপোজ্জ দিন, মারমারা সাংগ্রাই আপ্যাইং ও ত্রিপুরারা বিসিকাতাল নামে পালন করেন।

ফুল ভাসানো উৎসবে আসা পিয়া চাকমা বলেন, ‘অতীতের সমস্ত গ্লানি মুছে যাক, সবার মাঝে শান্তি বিরাজ করুক এ প্রত্যাশায় নদীতে ফুল ভাসাতে আসছি। দুই বছর পর এ উৎসবে অংশগ্রহণ করে খুবই ভাল লাগছে।’

সুপ্রিয় চাকমা শুভ বলেন, ‘পাহাড়ের সংস্কৃতি বিকাশ ও সংরক্ষণে সরকারি প্রতিষ্ঠান জেলা পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে করার কথা থাকলেও তা আমরা দেখতে পাই না। এসব প্রতিষ্ঠান যদি এগিয়ে আসে তাহলে পাহাড়ে আদিবাসী সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, কৃষ্টি সংরক্ষণ ও প্রসার হবে।’

সাংবাদিক ফজলে এলাহী বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে সংস্কৃতি বিকাশে আধুনিক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে হিলর প্রোডাকশন সংগঠনটি। করোনায় অনিশ্চিত জীবন থেকে যে নিশ্চিত জীবনে ফিরে এসেছি আশা রাখি জীবনের জন্য যে আয়োজন, সে আয়োজনকে সাধুবাদ জানাই।’

সবির কুমার চাকমা বলেন, ‘করোনায় গত দুই বছর পাহাড়ে ফুল ভাসানো উৎসবটি হয়নি। করোনার কারণে অনেকজনকে হারাতে হয়েছে। পরিস্থিতি আগের থেকে ভালো হওয়ায় এ বছরে হিলর প্রোডাকশন ফুল ভাসানো উৎসবটির আয়োজন করেছে। এ ফুল ভাসানো পাহাড়িদের মধ্যে একটি ঐতিহ্যবাহী দিন। এ দিনটি অত্যন্ত আনন্দের একটি দিন।’

ফুল ভাসানোর এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হিলর প্রোডাকশনের সভাপতি নিপায়ন চাকমা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য সবির কুমার চাকমা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক ফজলে এলাহী, পাহাড়ি ছাত্রপরিষদের সাবেক ছাত্রনেতা রিন্টু চাকমা।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের পরিচালক ও সাংবাদিক সুপ্রিয় চাকমা শুভ। এ সময় সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক জীবন চাকমা ও অর্থ সম্পাদক রিতু চাকমা, সদস্য শিউলি চাকমাসহ বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর