ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে কথা কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সংঘর্ষ হয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপে কাউসার হোসেন আপনের সঙ্গে এক বান্ধবীর কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে ওই বান্ধবীর স্বামী ও বন্ধুরা দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
এক পর্যায় কুবি ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তারা উভয় পক্ষকে হলে পাঠিয়ে দেন। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
কাউসার হোসেন আপন বলেন, ‘ইফতারের পর রবিন ও আলভির এসে আমাকে থাপ্পড় মারতে থাকে। আমি বিষয়টি সিনিয়র ও বন্ধুদের জানালে তারা ওদের সঙ্গে কথা বলতে যায়। এ সময় তারা আবারও আমাদের মারধর করেন।’
আলভির ভূইঁয়া বলেন, ‘ক্যাফেটেরিয়ার সামনে আপনের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে তাকে কোন ব্যাচ জিজ্ঞেস করলে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় সে আমার শার্টের কলার ধরলে তাকে থাপ্পড় দিই। পরে বঙ্গবন্ধু হলের সেলিমসহ কয়েকজনের সঙ্গে হাতাহাতি হয়।’
কুবি ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঝামেলা হয়েছিল। সেটা মীমাংসা করতে গেলে একটা গুজব উঠে কিছু হট্টগোল হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা বসেছি। এর পিছনে যাদের সংশ্লিষ্টতা থাকবে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘ আমিসহ প্রক্টরিয়াল টিম প্রত্যক্ষদর্শী ছিলাম। শিক্ষার্থীদের হলে পাঠিয়ে দিয়েছি।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট ড. মোকাদ্দেস উল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমরা দেখেছি। আমরা শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছি।’
প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘প্রক্টোরিয়াল টিম ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি। এখন যেহেতু উভয় পক্ষ উত্তেজিত, তাই আজ আর বসব না। মঙ্গলবার উভয় পক্ষের সঙ্গে বসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’