বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দেশের এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে: প্রধানমন্ত্রী

  •    
  • ১১ এপ্রিল, ২০২২ ২৩:৩৪

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে। এর ধাক্কাটা আমাদেরও লাগবে। আমার অফিসে যারা কাজ করেন তাদের পক্ষ থেকে এবং যারা বেসরকারি খাতে আছেন তাদের সবাইকে বলব- আমাদের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে, এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে।’

বৈশ্বিক খাদ্য সংকট থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত রাখতে আবাদযোগ্য প্রতি ইঞ্চি জমিতে ফসল ফলাতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সোমবার নিজ কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এ কথা বলেন সরকারপ্রধান।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে। এর ধাক্কাটা আমাদেরও লাগবে। আমার অফিসে যারা কাজ করেন তাদের পক্ষ থেকে এবং যারা বেসরকারি খাতে আছেন তাদের সবাইকে বলব- আমাদের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে, এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে।’

করোনাভাইরাস দেশে আঘাত হানার পর থেকেই বাংলাদেশসহ বিশ্বে খারাপ দিন আসবে বলে আশঙ্কা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘পৃথিবীতে খারাপ দিন আসবে। খাবারের অভাবটা ব্যাপকভাবে দেখা দেবে, খাদ্য ঘাটতি হবে। সে জন্য আমি সব সময় বলছি যে, যার যতটুকু জমি, দরকার হলে ছাদ বাগান থেকে শুরু করে, নিজের খাদ্যটা নিজে উৎপাদন করা। অর্থাৎ খাদ্যে যেন আমরা সবসময় স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকতে পারি। ওই ধাক্কাটা যেন আমাদের দেশে না আসে।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘যার পুকুর আছে তিনি মাছ চাষ করুন। ধান, তরিতরকারি, নিদেনপক্ষে একটা কাঁচামরিচ গাছ হলেও লাগান। সবাইকে কিছু না কিছু করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতির কথাও উঠে আসে। তিনি বলেন, ‘করোনা, তারপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ; এই দুটো মিলে তৃতীয় হয়তো আরেকটি ধাক্কা আসবে। যে কারণে আমাদের নিজেদের ব্যবস্থাটা নিজেদের করতে হবে।’

আমদানিনির্ভরতার কারণে কিছু পণ্যে সংকট তৈরি হচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এখন আমরা এলএনজি আমদানি করছি, তার দাম বেড়ে গেছে। তেল আমদানি করতে হচ্ছে, তেলের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে।’

সারাদেশে বিদ্যুতায়ন হলেও তেল ও এলএনজির দাম বেড়ে যাওয়ায় সমস্যাগুলো দেশের মানুষের সামনেও দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘সামনে আমাদের করণীয় বিষয়ে এখন থেকেই আরও চিন্তা করতে হবে। তার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। তার বিকল্প আমাদের খুঁজতে হবে।

‘মানুষের জীবন-জীবিকার পথ কিভাবে সুগম রাখতে পারি সেটা আমাদের দেখতে হবে। সেভাবে আমাদের কাজ করতে হবে। সেই চিন্তাটা আমাদের এখন থেকে করা দরকার।’

প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে চলা এ মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মশিউর রহমান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমম্বয়ক জুয়েনা আজিজ এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউসের সঞ্চালনায় সভায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিগত তিন বছরের কাজের ওপর একটি উপস্থাপনা তুলে ধরা হয়। এটি তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।

এ বিভাগের আরো খবর