সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) দুই ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মীরা।
সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর রেলক্রসিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা জানান, গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী রাউফুন প্রামাণিক ও অর্থনীতি বিভাগের ফয়সালকে সঙ্গে এক সিএনজি অটোরিকশা চালকের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ওই দুই ছাত্রকে চালকরা মারধর করেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চবির জিরো পয়েন্ট ফটকে তালা দেন ছাত্রলীগের উপ-গ্রুপ বিজয় ও সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা।
প্রক্টোরিয়াল বডির সঙ্গে আড়াই ঘণ্টা আলোচনার পর জড়িত চালকের বিরুদ্ধে মামলা করার আশ্বাসে তালা খুলে দেন বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা।
ছাত্রলীগ কর্মীরা জানান, গণিত বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের রাউফুন প্রামাণিক বিজয় এবং অর্থনীতি বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের ফয়সাল সিএফসি কর্মী।
বিজয় গ্রুপের নেতা ও চবি ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইলিয়াস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে শাটল ট্রেনে টোকাইরা পাথর মারছে, শিক্ষার্থীদের মাথা ফাটছে। সিএনজি অটোরিকশার চালকরাও ছেলেদের মারধর করছে। এসবের কোনো সুষ্ঠু তদন্ত হচ্ছে না।
‘বিকেলেও আমাদের এক কর্মীসহ দুইজনকে সিএনজি চালকরা মারধর করেছেন। এর প্রতিবাদে তাদের সহপাঠী ও ছাত্রলীগ কর্মীরা বিক্ষোভ করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘এভাবে আসলে চলতে পারে না। সিএনজি চালকরা আমাদের ছেলেদের মারবে, শাটলে মাথা ফাটাবে এভাবে কী হয়? আমরা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা চাই।’
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা জানান, রাতে প্রক্টোরিয়াল টিমের সদস্যরা মীমাংসা করতে আসেন। অভিযুক্ত চালকের নামে মামলা করার আশ্বাসে আড়াই ঘণ্টা পর ফটকের তালা খুলে দেয়া হয়েছে।
চবির সহকারী প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘সিএনজি মালিককে ডেকে এনেছি। অভিযুক্ত চালক সিএনজি নিয়ে পলাতক। মালিককে হাটহাজারী থানায় পাঠিয়েছি। অভিযুক্ত চালক থানায় গেলে মালিককে ছাড়া হবে। আমরা চালকের নামে মামলা করবো। চালককে না পেলে মালিকের নামে মামলা করা হবে।’