ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে সেন্টারটির আধুনিকায়নসহ ছয় দাবিতে অনশনে বসা শিক্ষার্থী মহিউদ্দীন রনির অনশন ভাঙানো হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যা সাতটা বিশ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান ডাবের পানি পান করিয়ে তার অনশন ভাঙান।
তিনি রনির ছয় দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের চেষ্টা করবেন বলেও আশ্বাস দেন।
উপাচার্যের সঙ্গে রনির আবাসিক হল শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রাব্বানী এবং ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় উপস্থিত ছিলেন।
বিকেলে প্রক্টর গোলাম রাব্বানী এবং সহকারী প্রক্টর আব্দুর রহীম মেডিক্যাল সেন্টারে এসে রনির অনশন ভাঙানোর চেষ্টা করেন। রনি তার দাবিতে অনড় থাকায় দুই জন ফিরে যেতে বাধ্য হন।
মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় বাঁ পা এবং কোমরের আঘাত নিয়ে গত ৫ এপ্রিল মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. মোহাম্মদ মুর্তজা মেডিক্যাল সেন্টার ভর্তি হন থিয়েটার অ্যান্ড পারফর্ম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের এই শিক্ষার্থী।
কিন্তু আহত পা নিয়ে ভর দিয়ে চলার জন্য ক্র্যাচ, হুইলচেয়ার, ওয়ার্ড বয় এবং হাইকমোড না থাকাসহ প্রতিদিনই তিনি নানা অসুবিধা ও অব্যবস্থাপনার শিকার হচ্ছেন। এসব অব্যবস্থানপনা দূর করাসহ ছয় দাবিতে তিনি ৯ এপ্রিল শনিবার দুপুর থেকে অনশন শুরু করেন।
সে সময় তিনি বলেন, ‘আমি প্রয়োজনে একটি পা স্যাক্রিফাইস করার জন্য প্রস্তত আছি। তবুও আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারের আধুনিকায়ন না দেখে অনশন ভাঙব না।’
উপাচার্য রনির ছয়টি দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে বলেন, ‘ইতিমধ্যেই কিছু দাবির বাস্তবায়ন হয়েছে। বাকি দাবিগুলো খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। আর আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত নতুন একটি ভবন দুই বছরের মধ্যেই নির্মাণ করা হবে।’
রনিকে ভালো কোনো হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শও দেন উপাচার্য।
মহিউদ্দিন রনির দাবিগুলো হলো
# মেডিক্যাল সেন্টারের এন্ট্রি পয়েন্টে ইনফরমেশন ডেস্ক স্থাপন করা।
# প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক লিফট, র্যাম্প, হুইলচেয়ার ও অন্যান্য এক্সেসোরিজ প্রদান করা।
# মেয়ে শিক্ষার্থীদের অন্তর্বর্তীকালীন শারীরিক সমস্যার সব চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় টিকা প্রদান করা।
# প্রয়োজনীয় আধুনিক চিকিৎসাসামগ্রী ও ওষুধ এবং প্রয়োজনীয় ইকুইপমেন্ট বা মেশিন স্থাপন করা।
#মেডিক্যাল সেন্টার কর্তৃক নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার প্রদান ও ক্যানটিন স্থাপন।
#অতিদ্রুত হাইকমোড, তথা হাইলি ডেকোরেটেড স্যানিটেশন সিস্টেমে টয়লেট, বাথরুম তৈরি করতে হবে।