বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিশ্ব পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে পাশে চায় জাপান

  •    
  • ১১ এপ্রিল, ২০২২ ২১:০৯

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশ শান্তিপ্রিয় দেশ এবং যুদ্ধের বিরুদ্ধে। ইরাক, আফগানিস্তান, সিরিয়া বা লিবিয়া যেখানেই যুদ্ধ হয়, সেখানে জানমালের ক্ষতি হয়; যা আমরা ইউক্রেনে প্রত্যক্ষ করছি। বাংলাদেশ মানবিক বিবেচনায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে এবং ইউক্রেনে মানবিক সহায়তা প্রদানের পদক্ষেপকে সমর্থন করেছে।’

ইউক্রেন, উত্তর কোরিয়া ও ইন্দো প্যাসিফিক ইস্যুতে বাংলাদেশের সহযোগিতা চেয়েছে জাপান। জবাবে ঢাকা জানিয়েছে, বাংলাদেশের অবস্থান যুদ্ধের বিপক্ষে।

মানবিক বিবেচনায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার উদাহরণ তুলে ধরে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে মানবিক সহায়তা প্রদানের পদক্ষেপকে সমর্থন করেছে বাংলাদেশ।

সোমবার জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হায়াশি ইয়োশিমাসার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।

২০২১ সালের নভেম্বরে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন হায়াশি। এরপর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এটিই ছিল তার প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক।

ইউক্রেন, উত্তর কোরিয়া এবং ইন্দো-প্যাসিফিকের পরিস্থিতি তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হায়াশি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশ শান্তিপ্রিয় দেশ এবং যুদ্ধের বিরুদ্ধে। ইরাক, আফগানিস্তান, সিরিয়া বা লিবিয়া যেখানেই যুদ্ধ হয়, সেখানে জানমালের ক্ষতি হয়; যা আমরা ইউক্রেনে প্রত্যক্ষ করছি। বাংলাদেশ মানবিক বিবেচনায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে এবং ইউক্রেনে মানবিক সহায়তা প্রদানের পদক্ষেপকে সমর্থন করেছে।’

সমসাময়িক গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সমস্যা এবং ভাসানচরে স্বেচ্ছায় ৩০ হাজার রোহিঙ্গাকে স্থানান্তরসহ এ পর্যন্ত নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয়টি তুলে ধরেছেন আবদুল মোমেন।

এ পর্যন্ত বাংলাদেশকে সহায়তা দেয়া এবং রোহিঙ্গা সমস্যা নিরসনে দেশটির অবিচল প্রতিশ্রুতির জন্য জাপানকে ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

সমস্যার দ্রুত সমাধানে জাপানের আরও সম্পৃক্ততা আশা করেন আবদুল মোমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হায়াশি বলেন, ‘জাপান বাংলাদেশকে সহায়তা অব্যাহত রাখবে। কারণ এ সমস্যা সমাধানের জন্য প্রত্যাবাসন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

গত ১০ ফেব্রুয়ারি বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘জাপানের নাম বাংলাদেশের জনগণেরর কাছে অতি প্রিয় এবং জাপান এশিয়ায় বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন সহযোগী।’

বাংলাদেশে আরও জাপানি বিনিয়োগের, বিশেষ করে সুনীল অর্থনীতি, অটোমোবাইলস, আইসিটি, ফার্মাসিউটিক্যালসে, প্রকৌশল, ইলেকট্রনিকসের মতো খাতে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রায়নের সঙ্গে সঙ্গে আরও জাপানি কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগে আকৃষ্ট হবে।’

দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সম্পর্ক এগিয়ে নিতে সুনীল অর্থনীতি, আইসিটি এবং ফার্মাসিউটিক্যালসে খাতে আরও সহযোগিতা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন জাপানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

দক্ষ জনগোষ্ঠী গড়ার লক্ষ্যে জাপান সরকারকে আরও বেশিসংখ্যক বৃত্তি ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দিয়ে সহায়তার অনুরোধ করেন এ কে আবদুল মোমেন।

এ বিষয়ে আশ্বস্ত করে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হায়াশি বলেন, ‘জাপান মানবসম্পদ উন্নয়নে বাংলাদেশকে বৃত্তি ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদান অব্যাহত রাখবে।’

দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যু এবং বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশের ওপর এর প্রভাব নিয়েও আলোচনা করেন।

বিভিন্ন বহুপক্ষীয় ফোরামে ভবিষ্যৎ প্রার্থিতা নিয়েও আলোচনা করেছেন তারা। একে অপরের প্রার্থীদের সমর্থন দেয়ার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানানো হলে তিনি তা বিবেচনা করবেন বলে আশ্বস্ত করেন।

টোকিওতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ, মিশন উপপ্রধান শাহ্ আসিফ রহমান এবং পরিচালক (পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয়) এমদাদুল ইসলাম চৌধুরীও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন।

১১ থেকে ১৫ এপ্রিল পালাওয়ে অনুষ্ঠেয় মহাসাগরবিষয়ক সম্মেলনে অংশ নেয়ার ফাঁকে টোকিওতে যাত্রাবিরতি করছেন।

এ বিভাগের আরো খবর