প্রায় প্রতি বছর ঈদের আগে বেতন-বোনাসের দাবিতে রাস্তা আটকিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা যায় গার্মেন্টসহ বেশ কিছু খাতের শ্রমিকদের। এমনকি অনেকেই কয়েক মাসের বকেয়া বেতনও পান না ঈদের আগে। তাই এবার ঈদের আগেই শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট খাতের মালিকরা।
এসব খাতের মালিকরা চলতি মাসের অন্তত ১৫ দিনের বেতনও ঈদের আগে পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
অন্যদিকে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস প্রদানের সুবিধার্থে শ্রমঘন এলাকায় ছুটির দিনেও ব্যাংক খোলা রাখা হবে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
সোমবার মালিক-শ্রমিক ও সরকার ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ- টিসিসির ৭১তম এবং আরএমজি বিষয়ক টিসিসির ১২তম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় অন্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহী, অতিরিক্ত সচিব জেবুন্নেছা করিম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নুসরাত জাবীন বানু, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক নাসির উদ্দীন আহমেদ, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী, বাংলাদেশ এমপ্লারয়ার্স ফেডারেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট সুসমিতা আনিস, বিজিএমইএর ভাইস প্রেসিডেন্ট নাসির উদ্দিন, পরিচালক হারুন উর রশীদ, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি নুর কুতুব আলম মান্নানসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, শিল্প পুলিশ, সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।
সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গার্মেন্টসহ রাষ্ট্রায়ত্ব, বেসরকারি, প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক সব খাতের শ্রমিকদের ঈদের বোনাস দেয়া হবে। এর পাশাপাশি যদি আগের বকেয়া থাকে তাসহ চলতি (এপ্রিল) মাসের অন্তত ১৫ দিনের বেতন ঈদের ছুটির আগেই মালিকরা প্রদান করবেন।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি ছুটির সঙ্গে মিলিয়ে শ্রমিকদের ঈদের ছুটি দেয়া হবে। তবে জরুরি রপ্তানির প্রয়োজনে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে ছুটি এদিক-ওদিক করা যাবে।’
শ্রমিকরা যাতে ঈদের ছুটিতে ভালোভাবে, নির্বিঘ্নে ঈদে যাতায়াত করতে পারেন সেজন্য সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান শ্রম প্রতিমন্ত্রী। ভালোভাবে ঈদ উদযাপনে মালিক-শ্রমিক সবার সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি।