সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক থেকে ক্ষতিকর কনটেন্ট সরাতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে ফেসবুক থেকে ক্ষতিকর কনটেন্ট সরাতে যে ক্ষমতা দেয়া আছে, সেটা প্রয়োগ করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
সোমবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতের রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারীদের আইনজীবী তাপস কান্তি বল। আর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) পক্ষে শুনানি করেন খন্দকার রেজা-ই রাকিব।
যারা ফেসবুক নিয়ন্ত্রণ করেন তারা যাতে দ্রুত ক্ষতিকর কনটেন্ট অপসারণ করে তার নির্দেশনা চেয়ে ঢাকার বাসিন্দা সেলিম সামাদ, ভিক্টর রায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের শিক্ষক এস এম মাসুম বিল্লাহসহ চার ব্যক্তি গত বছরের ২০ ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন। ওই রিটের আজ শুনানি হয়।
এর আগে বিবাদীদের আইনি নোটিশ দেয়া হয়েছিল।
গত বছরের ১৩ অক্টোবর দুর্গা পূজার সময় কুমিল্লার একটি পূজামণ্ডপে মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআন রাখার অভিযোগের একটি ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, বিশেষ করে ফেসবুকে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়া এ ধরনের ভিডিও, অডিও, ছবি পোস্টকে কেন্দ্র করে এর আগেও কক্সবাজারের রামু, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর, সুনামগঞ্জের শাল্লা, ভোলার বোরহান উদ্দিন, সাতক্ষীরা, লালমনিরহাটের পাটগাঁসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটে।
আইনজীবী তাপস কান্তিবল বলেন, ‘আজ শুনানির সময় আদালত বিটিআরসির প্রতি উষ্মা প্রকাশ করেছে।’
এ সময় বিটিআরসির আইনজীবী আদালতকে জানান, তারা এরই মধ্যে একটি রেগুলেশন ড্রাফট করে ফেলেছে। এটা এখন গণশুনানির পর্যায়ে রয়েছে। আশা করছি কিছু দিনের মধ্যেই এটা করা যাবে।