মানিকগঞ্জের শিবালয়ে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ এবং ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার দুপুরে শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূরজাহান লাবনী এক প্রেস বিফ্রিংয়ে বিষয়টি জানান। এর আগে রোববার রাতে শিবালয় ও ঘিওর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ওই দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ভুক্তভোগী ওই স্কুলছাত্রীর বাড়ি মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায়। সে স্থানীয় একটি স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ে।
গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা হলেন শিবালয়ের শিবরামপুর এলাকার ২২ বছর বয়সী সামিউল ইসলাম ওরফে সামি এবং ঘিওরের শ্রীবাড়ী এলাকার ১৯ বছরের তাপস সরকার।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ২ মার্চ বিকেলে খালার বাড়ি যাওয়ার পথে শিবালয়ের টেপড়া এলাকা থেকে ওই স্কুলছাত্রীকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় আসামিরা। পরে রাতভর তাকে ধর্ষণ ও মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে তারা। ভোররাতে ওই স্কুলছাত্রীকে তার খালার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। আর ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে জানালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকিও দেয়া হয়।
ঘটনার চার দিন পর খালার বাড়ি থেকে ফিরে বাবা-মাকে বিষয়টি জানায় ওই স্কুলছাত্রী।
এদিকে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ওই স্কুলছাত্রীকে আবারও ধর্ষণের চেষ্টা করতে থাকে আসামিরা। সেই সঙ্গে ওই স্কুলছাত্রীর পরিবারের কাছে টাকা ও স্বর্ণালংকার দাবি করে তারা।
কিন্তু এসব প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ধর্ষণের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় আসামিরা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূরজাহান লাবনী নিউজবাংলাকে জানান, রোববার রাতে ওই স্কুলশিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে সামিউল ইসলাম ওরফে সামি ও তাপস সরকারের নামে ধর্ষণ ও পর্ণোগ্রাফি আইনে মামলা করেন। মামলার পর অভিযান চালিয়ে তাদেরকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ধর্ষণের ভিডিও ক্লিপ ও মোবাইল জব্দ করা হয়।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারের পর ধর্ষণের বিষয়টি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে আসামিরা। আগামীকাল তাদের আদালতে পাঠানো হবে।