বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শক্তিশালী বিরোধী দল না থাকায় আক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর

  •    
  • ১১ এপ্রিল, ২০২২ ২০:০৬

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের অপজিশন বলতে যারা আছে, তার মধ্যে দুটো পার্টিই যারা (বিএনপি ও জাতীয় পার্টি) হচ্ছে মিলিটারি ডিকটেটর- একেবারে সংবিধান লঙ্ঘন করে, আর্মি রুলস ভঙ্গ করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিল, তাদের হাতে গড়া। মাটি ও মানুষের সঙ্গে যে সম্পর্ক, সেই সম্পর্কটা তাদের মাঝে নেই। সে ক্ষেত্রে অপজিশন কোথায়?’

দেশের রাজনীতিতে শক্তিশালী বিরোধী দল না থাকায় আক্ষেপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিএনপি ও জাতীয় পার্টির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেছেন, বিরোধী বলতে দুটি পার্টি আছে, দুটিই স্বৈরশাসকের হাতে গড়া।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সোমবার সকালে নিজ কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের অপজিশন বলতে যারা আছে, তার মধ্যে দুটো পার্টিই যারা (বিএনপি ও জাতীয় পার্টি) হচ্ছে মিলিটারি ডিকটেটর- একেবারে সংবিধান লঙ্ঘন করে, আর্মি রুলস ভঙ্গ করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিল, তাদের হাতে গড়া।’

‘কাজেই মাটি ও মানুষের সঙ্গে যে সম্পর্ক, সেই সম্পর্কটা তাদের মাঝে নেই। তাদের কাছে ক্ষমতাটা ছিল একটা ভোগের জায়গা। সে ক্ষেত্রে অপজিশন তাহলে কোথায়? এখানে একটা পলিটিক্যাল সমস্যা কিন্তু আছে।’

টানা তিন মেয়াদের প্রধানমন্ত্রী আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘কাজেই আমরা আমাদের শক্তিশালী বিরোধী দল পাচ্ছি না।

‘জাতীয় পার্টি ও বিএনপির অবস্থানটা মানুষের কাছে নেই। কারণ তারা তো এসেছেই একটা ভাসমান অবস্থায়। কাজেই তাদের ওই শিকড় তারা গাড়তে পারেনি। সে ক্ষেত্রে আমাদের ওয়েস্টার্ন ওয়ার্ল্ড থেকে যখন শোনায় যে এখানে ডেমোক্রেসি, পার্টিসিপেটরি ডেমোক্রেসি, ইলেকশন, হেনতেন; কিন্তু আসলে এখানে করবেটা কী? সেটাও তারা চিন্তা করে না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গণতন্ত্রের কথা বলতে গেলে অনেক দল দরকার। কিন্তু উন্নত বিশ্বে আপনারা দেখবেন সেখানে কিন্তু মাত্র দুই দল হয়ে গেছে এখন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দুই দলের বেশি শক্তিশালী দল নেই।‘

আমেরিকার প্রায় ২৫ শতাংশ সংগঠন নির্বাচনে অংশ নেয় না বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘ইলেকশন করার বিষয়ে একটা অনীহা চলে আসে মানুষের। এটাও কিন্তু অনেক দেশে দেখা যাচ্ছে। আমাদের দেশটা ধীরে ধীরে ওরকম হয়ে যাচ্ছে।’

তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সোমবার নিজ কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন শেখ হাসিনা। ছবি: পিএমও

বিএনপি-জামায়াত আমলের কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘পেছনে থেকে তাদেরকে উৎসাহ দিয়ে একবার ক্ষমতায় আনতে পারে, যেটা ২০০১ সালে এনেছিল। কিন্তু তার পরিণতি কী ছিল? বাংলাদেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন, বাংলা ভাই সৃষ্টি, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি, ৫০০ জায়গায় একদিনে বোমা হামলা, আমাদের ওপর গ্রেনেড হামলা, অপজিশনের অনেক নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা।’

বঙ্গবন্ধু-কন্যা বলেন, ‘সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ওপর গ্রেনেড হামলা হলো, কামরান মারা গেছে- তার ওপর দুবার গ্রেনেড হামলা হলো, হেলালের মিটিংয়ের ওপর হামলায় ৯ জন মারা গেল। এরকম সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সে সময় দেশজুড়ে। যার জন্য ইমার্জেন্সি, তারপর…, এটা হলো বাস্তবতা।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাজনৈতিক চিন্তা-ভাবনাটা যদি মানুষকে ঘিরে হয়, মানুষের কল্যাণমুখী হয়, সেই রাজনীতি টিকে থাকে, সেটাই চলে।’

আওয়ামী লীগ মাটি ও মানুষের দল মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘একমাত্র আওয়ামী লীগ একটি দল, যে দল সেই ১৯৪৯ সালে তৈরি। বিরোধী দল থেকে একেবারে সাধারণ মানুষকে নিয়ে এই দল গড়ে তোলা। এই সংগঠনের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে এদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। এজন্য আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি হয়।’

প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে চলা এ মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমম্বয়ক জুয়েনা আজিজ এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিগত তিন বছরের কাজের ওপর একটি উপস্থাপনা তুলে ধরা হয়। এটি তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।

এ বিভাগের আরো খবর