বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাবরের অর্থ পাচারসহ দুই অভিযোগ তদন্তে দুদককে বিএনপির চিঠি

  •    
  • ১১ এপ্রিল, ২০২২ ২০:০৩

সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফের ছোট ভাই বাবর সম্প্রতি গ্রেপ্তার হয়েছেন। মন্ত্রীর ডানহান বলে পরিচিত কয়েকজন ধরা পড়েছেন আগেই। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ২ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন। পাশাপাশি খন্দকার মোশাররফ মন্ত্রী থাকাকালে সারা দেশে তার মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিভিন্ন দরপত্র থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ টাকা কামিয়েছেন। এসব অভিযোগে করা মামলার বিচারও চলছে।

সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ভাই খন্দকার মোহতাশেম হোসেন বাবরের বিরুদ্ধে ২ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ তদন্তের অনুরোধ করে দুর্নীতি দমন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে বিএনপি।

সোমবার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের নেতৃত্বে একটি দল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সচিবের সঙ্গে দেখা করে এই দাবি জানায়।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের মধ্যে টেলিফোনে কথোপকথন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তাও খতিয়ে দেখতে অনুরোধ করেছে বিএনপি।

এ কথোপকথন দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা সংশ্লিষ্ট অপরাধ উল্লেখ করে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনতে দুদকের কাছে দাবি জানানো হয়েছে।

দেশ থেকে গত পাঁচ বছরে লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে অভিযোগ করে এর সঙ্গে সম্পৃক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তাও প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছে বিএনপি।

দলটির দাবি, তারা দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট দুটি অভিযোগ জমা দিয়েছে।

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন বিএনপি নেতা আলাল। ছবি: নিউজবাংলা

সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফের ছোট ভাই বাবর সম্প্রতি গ্রেপ্তার হয়েছেন। মন্ত্রীর ডানহান বলে পরিচিত কয়েকজন ধরা পড়েছেন আগেই। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ২ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন। পাশাপাশি খন্দকার মোশাররফ মন্ত্রী থাকাকালে সারা দেশে তার মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিভিন্ন দরপত্র থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ টাকা কামিয়েছেন। এসব অভিযোগে করা মামলার বিচারও চলছে।

বিএনপি নেতা আলাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘ফরিদপুরের মোহতাশেম বাবরের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী সময়ে কী হলো, কী কারণে থেমে গেছে বা সেই জায়গায় কী কাজ হচ্ছে— এসব নিয়ে মানুষ জানতে আগ্রহী। এ বিষয়ে পরিষ্কার ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য আমরা বলেছি।’

অন্য অভিযোগের বিষয়ে আলাল বলেন, ‘অতি সম্প্রতি জাতি জানতে পেরেছে, আইনমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের কথোপকথন ফাঁস হয়েছে। এ কথোপকথন অত্যন্ত স্পর্শকাতর।

‘সর্বোচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতি সংঘটিত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত। সেই বিষয়টি তদন্ত করতে আমরা বলেছি। আমরা বলেছি, এ বিষয়ে শক্তিশালী তদন্ত করুন, আমরা আপনাদের সহযোগিতা করব। বাংলাদেশের মানুষ আপনাদের প্রতি আশা নিয়ে তাকিয়ে আছে।’

কয়েক মাস আগে আইনমন্ত্রীকে ফোন করে একটি প্রকল্পের বিষয়ে কথা বলেন সালমান। জানিয়ে দেন, ফাইলটি তিনি দেখেছেন কি না। আইনমন্ত্রী সালমানকে জানান, তিনি সেটা ছেড়ে দিয়েছেন। তখন সালমান বলেন, এটি জয়ের প্রকল্প। তখন আইনমন্ত্রী বলেন, সেটি খামেই লেখা রয়েছে।এই ফোনালাপের বিষয়ে আইনমন্ত্রী গত ১৩ ফেব্রুয়ারি গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, তাদের কথোপকথন ছিল নির্দোষ।

তিনি সেদিন বলেন, ‘যারা এই অডিও নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করছেন, তারা এতই দেউলিয়া যে একটা ‘ইনোসেন্ট কনভারসেশন’কে তারা এখন তাদের পুঁজি বানানোর চেষ্টা করছেন। টেলিফোনে আমি একজন উপদেষ্টার প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলাম। তিনি একটা ব্যাপারে আমাকে জিজ্ঞেস করেছেন, সেখানে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টার একটা প্রজেক্ট, যেটা হচ্ছে তার ব্রেইন চাইল্ড।’

আলাল বলেন, কথোপকথন-সংক্রান্ত বিভিন্ন দলিল কমিশনের কাছে দেয়া হয়েছে। একটি পেনড্রাইভ এবং কিছু কাগজপত্রও জমা দেয়া হয়েছে।দুদক সচিব মাহবুব হোসেন বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘যে কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ করতে পারেন। এটা রেজিস্ট্রারে রিসিভ করা হয়েছে। দুদক আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।’

বিএনপির অভিযোগগুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দুটি লিখিত অভিযোগ দিয়ে গেছেন, তাতে কী লেখা আছে তা খুলে দেখিনি।’

এর আগে সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে এ বিষয়ে দুদকে চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও আপনারা (গণমাধ্যম) এই সরকারের সীমাহীন দুর্নীতির খবর পত্রপত্রিকা, টিভি চ্যানেল এবং নিউজপোর্টালে প্রকাশ ও প্রচার করছেন। এই সাহসিকতার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ দিতেই হয়।

‘কিন্তু গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত এসব দুর্নীতির খবরের ওপর ভিত্তি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কোনো অ্যাকশনে যায়— এমনটি আমাদের চোখে পড়ে না। বরং দুর্নীতির বিরুদ্ধে পেশাগত দায়িত্ব পালন করায় দুদকের একজন কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত এবং হেনস্তা করার ঘটনা ঘটেছে।’

এই চিঠি দিয়ে কোনো লাভ হবে কি না সেটি নিয়ে সন্দিহান বলেও জানান ফখরুল। বলেন, ‘তবে দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে জনগণের কাছে আমাদের দায়বদ্ধতা থেকে আমরা এই কাজটা করতে চাই।’

এ বিভাগের আরো খবর