বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে যমুনা নদীতে ইকোনমিক করিডর করা সম্ভব হয়নি বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী। বর্তমান সরকার এ করিডর বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপকমিটি সোমবার ‘যমুনা নদীর ইকোনমিক করিডর উন্নয়ন: সম্ভাবনা, প্রতিবন্ধকতা এবং কৌশল প্রণয়ন’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে।
রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) শহীদ প্রকৌশলী ভবনের এ সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন মতিয়া চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘যমুনা নদীর ইকোনিক করিডর উন্নয়নের জন্য বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এ কাজ অনেক আগেই হওয়ার কথা ছিল। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের নেতিবাচক রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তা বাস্তবায়ন হয়নি।
‘মূল নদীর পাশাপাশি শাখা নদীগুলোরও করিডর উন্নয়নের কথা ছিল, যা হয়নি। এখন এই উন্নয়ন করিডর বাস্তবায়ন করতে প্রকৌশলীদের সহযোগিতা লাগবে, একই সঙ্গে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তও লাগবে।’
মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘যেকোনো ধরনের কানেক্টিভিটি দেশের উন্নয়নের দুয়ার খুলে দেয়। যমুনা নদীর ইকোনিক করিডর উন্নয়নের কথা ভেবেই দুই পাশে স্থাপনা গড়ে তোলা হচ্ছে। এই করিডর শুধু বাংলাদেশের মাঝে পণ্য পরিবহনে অবদান রাখবে, তা নয়। এই করিডর বিদেশেও পণ্য পরিবহনে সহায়তা করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ পরিকল্পনা যমুনা তীরের বাসিন্দাদের উন্নত জীবন ও জীবিকার স্বপ্ন দেখাচ্ছে।’
যমুনা নদীর ইকোনমিক করিডর উন্নয়ন ও সম্ভাবনা নিয়ে সেমিনার। ছবি: নিউজবাংলা
সেমিনারে বিশেষ অতিথি পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, ‘যমুনা নদী ঘিরে বাণিজ্য ও শিল্পায়নের অনেক সম্ভাবনা আছে। যমুনা নদীর ইকোনমিক করিডর উন্নয়ন করতে পারলে রফতানিমুখী শিল্পায়ন গড়ে উঠবে। সেই সম্ভাবনা সামনে রেখে যমুনা নদীর ওপর সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প চলমান।’
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য প্রফেসর ড. মো. হোসেন মনসুরের সভাপতিত্বে সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক এবং উপকমিটির সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পানিসম্পদ বিশেষজ্ঞ এবং কানাডার রয়েল মিলিটারি কলেজের সংযুক্ত অধ্যাপক ড. এস এম হাবিবুল্লাহ বাহার। আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ইঞ্জিনিয়ার ফজলুর রশিদ।
সেমিনার সঞ্চালনা করেন উপকমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার রনক আহসান।