চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও পেকুয়া থেকে মানবপাচার ও প্রতারণার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
র্যাবের অভিযানে রোববার তাদের গ্রেপ্তার করা হলেও তা সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হয়েছে। র্যাব জানিয়েছেন, ৫ জনের ওই চক্রটি মালয়েশিয়া নেয়ার কথা বলে ইঞ্জিন বোটে তুলে সাগরে ঘুরিয়ে সেন্টমার্টিনে নামিয়ে দিতেন যাত্রীদের। তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হতো লাখ টাকা।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক নুরুল আবসার জানান, দীর্ঘদিন ধরে বাঁশখালী ও কক্সবাজারের পেকুয়ায় সক্রিয় এই চক্রটি। তারা মালয়েশিয়া যেতে ইচ্ছুক যাত্রীদের স্বাক্ষর নিতেন খালি স্ট্যাম্পে, তৈরি করতেন ভুয়া পাসপোর্ট। জনপ্রতি যাত্রীদের কাছ থেকে নেয়া হতো ১ লাখ টাকা। আর পাসপোর্ট তৈরির খরচ হিসেবে নেয়া হতো ১৫ হাজার টাকা।
র্যাব কর্মকর্তা জানান, চক্রটি পরে ওই যাত্রীদের ট্রলারে তুলে দিত। ২ থেকে ৩ দিন সাগরে ঘুরিয়ে সেই ট্রলার তাদের গভীর রাতে সেন্টর্মার্টিনে নামিয়ে দিত। ভোর হলে যাত্রীরা বুঝতে পারতেন যে তাদের সঙ্গে প্রতারণা হয়েছে।
নুরুল আবসার আরও জানান, এসব অভিযোগের তদন্তে নেমে জানা গেছে ওই চক্রের মুল হোতা ইসমাইল হোসেন ও তার ভাই শফিউল আলম। তাদের বাড়ি বাঁশখালীর ছনুয়া উপজেলায়। তাদের নামে আগেও মানবপাচারের ৭টি মামলা আছে। পরে অভিযান চালিয়ে রোববার তাদেরসহ চক্রের ৫ জনকে র্যাব আটক করে।
আটক ব্যক্তিরা মানবপাচারের অভিযোগ স্বীকার করেছে বলেও জানান এই র্যাব কর্মকর্তা। মানবপাচারের মামলা দিয়ে তাদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।