১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ঢাকার মিরপুরের মুসলিম বাজার বধ্যভূমিতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নারকীয় গণহত্যায় নিহতদের দেহাবশেষের অবশিষ্টাংশ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে।
সেনাবাহিনীর উদ্যোগে সোমবার মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদের উপস্থিতিতে দেহাবশেষগুলো দাফন করা হয়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর- আইএসপিআর।
এতে বলা হয়, মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাংলাদেশের অসংখ্য জায়গায় বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞ চালায়। মিরপুর মুসলিম বাজার বধ্যভূমি এসব বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে অন্যতম।
বধ্যভূমি থেকে উদ্ধার দেহাবশেষ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনের সময় সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদের শ্রদ্ধা। ছবি: আইএসপিআর
১৯৯৯ সালের জুলাইয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের মদদপুষ্ট রাজাকারদের হিংস্রতার ভয়াবহতার প্রমাণ মেলে। ওই বছরের ২৭ জুলাই মিরপুর ১২ সেকশনের নূরী মসজিদের সংস্কারকাজে কূপ খননের সময় বেরিয়ে আসে হত্যাযজ্ঞের স্মৃতিচিহ্ন।
মাথার খুলি ও হাড়গোড়ের সঙ্গে বেরিয়ে আসতে থাকে মানুষের চুলের বেণি, ওড়না, কাপড়ের অংশবিশেষসহ শহীদদের ব্যবহার করা বিভিন্ন সামগ্রী।
উদ্ধার করা হাড় ও খুলিগুলো একাত্তরের গণহত্যার নিদর্শন কি না তা নিশ্চিত হতে কাজ করে ওয়্যার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি। শহীদদের নিদর্শনগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং শহীদদের রক্তের সম্পর্কের আত্মীয়স্বজনের টিস্যু স্যাম্পল নিয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণা করা হয়।
পরে দেহাবশেষের কিছু মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এবং কিছু সেনাবাহিনীর জাদুঘরে সংরক্ষণের জন্য দেয়া হয়।
অবশিষ্ট দেহাবশেষ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হলো।
এ সময় সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বাহিনীর অন্যান্য পদবির সেনাসদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।