চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় শিশুকে খুঁটিতে বেঁধে মারধর মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।
সোমবার দুপুরে দোস্ত গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়।
তারা হলেন মায়ের দোয়া ফ্যাশন হাউসের মালিক আলী আহম্মেদ ও তার মেয়ে রুমানা আক্তার রুমা।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম লুৎফুল কবীর।
তিনি জানান, দুজনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় শিশুটির মা তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। এ মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মামলার অপর আসামি ওই দোকান মালিকের স্ত্রী রহিমা খাতুনকে ধরতে অভিযান চলছে।
ওসি আরও জানান, গ্রেপ্তার দুই আসামিকে বিকেলে দর্শনা আমালি আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্র নিউজবাংলাকে বলে, ‘আমি দুপুরে টিফিনের সময় ওই দোকানে খাবার কিনতে যাই। তারা আমাকে চুরির অপবাদ দিয়ে দোকানের সামনের বাঁশের খুঁটির সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে। মারধরও করে। পরে আমার স্কুলের প্রধান শিক্ষক এসে আমাকে মুক্ত করে নিয়ে যান।’
প্রধান শিক্ষক মোমিন হোসেন জানান, বেঁধে রাখার খবর শুনে তিনি গিয়ে শিশুটিকে মুক্ত করেন। এরপর তার দেহ তল্লাশি করে কোনো টাকা পাননি।
মোমিন বলেন, ‘একজন দোকানদার টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে এভাবে একটা শিশুকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন করবেন আমি ভাবতেও পারি না। সে যদি কোনো টাকা নিত তাহলে তিনি আমাকে জানাতে পারতেন। প্রয়োজনে আমি ক্ষতিপূরণ দিতাম। বাচ্চাটাকে কেন নির্যাতন করা হলো? কারও কাছ থেকে এমন আচরণ কেউ আশা করে না।’
তবে আটকের আগে মুদি দোকানি আলী আহমেদের মেয়ে রোমানা খাতুন দাবি করেন, ‘আমি নিজে আমাদের টাকা রাখার কৌটাসহ ওই ছেলেকে ধরেছি। তাই তাকে বেঁধে সামান্য শাস্তি দিয়েছি যেন কেউ চুরির মতো অপরাধ করতে না পারে।’