বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফেস্টুন ছেঁড়ায় শিক্ষার্থীকে ‘চড়-থাপ্পড়’

  •    
  • ১১ এপ্রিল, ২০২২ ১৬:০৪

তার নানা মো. শাহনেয়াজ বলেন, ‘রোববার বিকেলে আমাদের বাসায় এসে মনিরুল ইসলাম ও তার লোকজন আমার নাতিকে তুলে নিয়ে যেতে চায়। তার অপরাধ কি জানতে চাইলে তারা বলে ও পোস্টার ছিঁড়েছে। এ কথা শুনার পর আমি ও আমার স্ত্রী তাদের কাছে ক্ষমা চাই। তবুও তারা থামেনি। বার বার বলতে থাকে ওকে পেটাবে। পরে আমরা বলি ফেস্টুন ছেঁড়ার কারণে যে ক্ষতি হয়েছে, তার ক্ষতিপূরণ দিয়ে দেব। তখন মনিরুল ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৩ হাজার টাকা নিয়ে যান। যাওয়ার সময় ভবিষ্যতে এমন কাজ করলে পা বেঁধে উল্টে পেটানোর হুমকি দিয়ে যান।’

কুমিল্লায় সম্ভাব্য এক কাউন্সিলর প্রার্থীর নির্বাচনি ফেস্টুন ছেঁড়ার কারণে এক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া পরিবার থেকে ৩ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ নেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

কুমিল্লা নগরীর রেইসকোর্স এলাকায় রোববার বিকেলের দিকে এই ঘটনা ঘটে।

ওই শিক্ষার্থী কুমিল্লা মডার্ণ স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র। রেইসকোর্সে তার বাসা।

যে ফেস্টুনটি ছেঁড়া হয়েছে সেটি কুমিল্লা নগরীর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মনিরুল আলমের। কিশোরকে মারধর বা ক্ষতিপূরণ নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।

ওই কিশোর নিউজবাংলাকে জানায়, সপ্তাহ দুয়েক আগে স্কুলে যাওয়ার পথে সে এবং তার খালাতো ভাই দুষ্টুমি করে দেয়ালে লাগানো একটি ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে। রোববার বিকেলে স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পথে মনিরুল ও তার লোকজন ছেলেটির পথরোধ করে। তাকে চড়-থাপ্পড় মেরে মনিরুলের ঘরে নিয়ে যায়।

ছেলেটি তখন তাদের জানায়, সে নয়, তার খালাতো ভাই ফেস্টুন ছিঁড়েছে। এরপর মনিরুল ও তার লোকজন ছেলেটির খালাতো ভাইয়ের বাসায় গিয়ে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়।

তার নানা অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. শাহনেয়াজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তারা আমার নাতি। তাদের দুজনের বাবা নেই। রোববার বিকেলে আমাদের বাসায় এসে মনিরুল ইসলাম ও তার লোকজন আমার নাতিকে তুলে নিয়ে যেতে চায়। তার অপরাধ কি জানতে চাইলে তারা বলে ও পোস্টার ছিঁড়েছে।

‘এ কথা শুনার পর আমি ও আমার স্ত্রী তাদের কাছে ক্ষমা চাই। তবুও তারা থামেনি। বার বার বলতে থাকে ওকে পেটাবে। পরে আমরা বলি ফেস্টুন ছেঁড়ার কারণে যে ক্ষতি হয়েছে, তার ক্ষতিপূরণ দিয়ে দেব। তখন মনিরুল ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৩ হাজার টাকা নিয়ে যান। যাওয়ার সময় ভবিষ্যতে এমন কাজ করলে পা বেঁধে উল্টে পেটানোর হুমকি দিয়ে যান।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার বাসায় আসার আগে মনিরুল ও তার লোকজন আমার আরেক নাতিকে ঘরে নিয়ে চড়-থাপ্পড় মারে। এখন আমার দুই নাতি স্কুলে যেতে ভয় পায়। আতঙ্কে বিষয়টি আমরা কাউকে জানাতে পারছি না।’

অভিযোগের বিষয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ওই ছেলে দুটো আমার ফেস্টুন ছিঁড়ছে। এটার সিসিটিভি ফুটেজ আছে। তবে চড়-থাপ্পড় মারা, জরিমানা আদায়ের ঘটনা ঘটেনি।’

জানতে চাইলে কুমিল্লা মর্ডাণ স্কুলের প্রধান শিক্ষক একেএম আক্তার হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আমি খোঁজ-খবর নিচ্ছি।’

কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহিদুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, এ বিষয়ে লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিভাগের আরো খবর