বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্থিতিশীলতা তহবিল: ১০০ কোটির ফান্ডে হাজার কোটি সাপোর্টের আশা

  •    
  • ১১ এপ্রিল, ২০২২ ১৫:৫৪

আইসিবির এমডি আবুল হোসেন বলেন, ‘বর্তমান মার্কেটে যে সাপোর্ট দরকার, এই ১০০ কোটি টাকা দিয়ে আমি মনে করি এক হাজার কোটি টাকার সাপোর্ট দিতে পারব। আইসিবি মার্কেটে সাপোর্ট দেয়ার ক্ষেত্রে প্রথমেই ক্ষতিগ্রস্ত ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের কথা চিন্তা করে, তারপর নিজেরটা চিন্তা করে। এই কারণে মার্কেটে আইসিবি ১০ কোটি টাকা দিয়ে যে সাপোর্ট দিতে পারব। অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ১০০ কোটি টাকা দিয়েও সেই সাপোর্ট দিতে পারবে না।’

পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিলের অর্থে এক শ কোটি টাকার একটি মিউচ্যুয়াল ফান্ড চালুর প্রস্তুতি চূড়ান্ত হলো। ১০ বছর মেয়াদি এই ফান্ডে বাজারে তারল্য বাড়বে বলে আশাবাদী এর ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অফ বাংলাদেশ-আইসিবি। সংস্থাটি বলছে, শত কোটি টাকা দিয়ে হাজার কোটির সাপোর্ট দিতে পারবে তারা।

সোমবার আইসিবি কার্যালয়ে এই মিউচ্যুয়াল ফান্ড নিয়ে আসতে ‘ট্রাস্ট ডিড’ সই হয়েছে। এর নাম আইসিবি এএমসিএল সিএমএসএফ গোল্ডেন জুবিলি মিউচ্যুয়াল ফান্ড।

পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিলের চিফ অফ অপারেশন মনোয়ার হোসেন, আইসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহমেদুর রহমান এতে সই করেন।

গত ২৯ ডিসেম্বর এই মিউচ্যুয়াল ফান্ড গঠনের ঘোষণা আসে। ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড ও আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি ফান্ডটির স্পন্সর হিসেবে থাকছে। বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি (বিজিআইসি) ট্রাস্টি এবং ব্র্যাক ব্যাংক তহবিলের কাস্টডিয়ান হিসাবে কাজ করবে।

এর অর্ধেক, অর্থাৎ ৫০ কোটি টাকা আসবে পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিল থেকে, বাকি অর্ধেক টাকা ইউনিট ছেড়ে তোলা হবে।

অনুষ্ঠানে আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল হোসেন বলেন, ‘বর্তমান মার্কেটে যে সাপোর্ট দরকার, এই ১০০ কোটি টাকা দিয়ে আমি মনে করি এক হাজার কোটি টাকার সাপোর্ট দিতে পারব।

‘আইসিবি মার্কেটে সাপোর্ট দেয়ার ক্ষেত্রে প্রথমেই ক্ষতিগ্রস্ত ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের কথা চিন্তা করে, তারপর নিজেরটা চিন্তা করে। এই কারণে মার্কেটে আইসিবি ১০ কোটি টাকা দিয়ে যে সাপোর্ট দিতে পারব। অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ১০০ কোটি টাকা দিয়েও সেই সাপোর্ট দিতে পারবে না।

তিনি বলেন, ‘অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির যে পাস্ট এক্সপেরিয়েন্স সেটা কাজে লাগাতে পারলে বছর শেষে বিনিয়োগকারীরা একটা ভালো ডিভিডেন্ড পাবেন।’

অনুষ্ঠানে পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিলের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান বলেন, ‘এটা একটি অত্যন্ত শুভ উদ্যোগ। বিএসইসি ক্যাপিটাল মার্কেটে যে গুণগত মান বৃদ্ধির চেষ্টা চালাচ্ছে, তারই ধারাবাহিকতায় আইসিবি এএমসিএল সিএমএসএফ গোল্ডেন জুবিলি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’

নজিবুর রহমান বলেন, ‘ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ আমরা সবার ওপরে তুলে ধরব। যাতে এটি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের জন্য উদাহরণ হতে পারে।’

আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল হোসেন বলেন, ‘গত কয়েক বছর মেয়াদি মিউচ্যুয়াল ফান্ড মার্কেটে আসেনি। সবগুলো বেমেয়াদি।

‘ক্লোজ মিউচ্যুয়াল ফান্ড মার্কেটে না আসার কারণে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে, এই ফান্ড তা অনেকটা পূরণ করবে। এটা সফলভাবে সাবস্ক্রাইবড হয়ে পরবর্তীতে ক্লোজ এন্ড ফান্ডের যে ভীতি ছিল বিনিয়োগকারীদের মাঝে তা কেটে যাবে।

‘আইসিবি, বিজিআইসি, ব্র্যাক ব্যাংক- এই তিনটি প্রতিষ্ঠানের প্রতি সবার ভরসা, বিশ্বাস আছে। এজন্য একটা ওভার সাবস্ক্রাইবড হবে।’

আইসিবি পরিচালিত মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো সব সময় লভ্যাংশ দিয়ে আসছে উল্লেখ করে সংস্থাটির এমডি বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট যেকোনো সিদ্ধান্তই ইতিবাচকভাবে সংস্থার সভাপতি ও বোর্ড মিলে নেয়। সিএমএসএফ এর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান স্যার ও সংশ্লিষ্টদের যে অভিজ্ঞতা তাই ব্যবহার করতে পারলে অন্যান্য ফান্ডের চেয়ে অনেক অনেক ভালো করবে।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এআইএস বিভাগের অধ্যাপক ও পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিলের বোর্ড অব গভর্নরস মোহাম্মদ তারেক, সিডিবিএলের ভাইস চেয়ারম্যান এ কে এম নুরুল ফজল বুলবুল, বিজিআইসির ভাইস প্রেসিডেন্ট দেবব্রত বণিক ও ব্র্যাক ব্যাংকের সিইও ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আরএফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর