বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সরকারের দুর্নীতি তদন্তে দুদককে চিঠি দেবে বিএনপি

  •    
  • ১১ এপ্রিল, ২০২২ ১৪:৩১

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা দলের সর্বোচ্চ ফোরামে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমরা সরকারের দুর্নীতির এই বিষয়গুলো নিয়ে আপাতত দুর্নীতি দমন কমিশনে চিঠি দেব। সেই চিঠিতে সংস্থাটিকে আমরা তদন্ত করার জন্য অনুরোধ করব। এরপরে ধারাবাহিকভাবে প্রত্যেকটা ইস্যু যেটা আসছে সেটা আমরা জাতির কাছে তুলে ধরব এবং একই সঙ্গে দুদকে পাঠাব।’

ক্ষমতাসীন দল এবং সরকারের দুর্নীতি তদন্তের দাবি জানিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনকে চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।

সোমবার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে বর্তমানে দুর্নীতির একটা মহোৎসব চলছে। আপনারা এখন সাহস করে অনেক কিছু লিখছেন যার মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু জানতে পারছি। আমরা দুর্নীতির বিষয়গুলো নিয়ে বিভিন্ন সময়ে কথা বলেছি। সরকারের এক উপদেষ্টা (সালমান এফ রহমান) ও আইনমন্ত্রীর (আনিসুল হক) টেলিফোন কনভারসেশন যেটা আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। সেই কনভারসেশনে যে বিষয়গুলো ছিল সেটা আমরা জানতে চেয়েছিলাম, এর তদন্ত হয়েছে কি না তাও জানতে চেয়েছিলাম। ফরিদপুরের অত্যন্ত সেনসিটিভ একটি পরিবার সেই পরিবারের এক সদস্যের বিরুদ্ধে ২ হাজার কোটি টাকা অর্থ পাচারের অভিযোগ এবং তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

‘এ বিষয়গুলো ধীরে ধীরে ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছে। আর কোনো কথাই হচ্ছে না এগুলো নিয়ে। আমরা দলের সর্বোচ্চ ফোরামে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমরা সরকারের দুর্নীতির বিষয়গুলো নিয়ে আপাতত দুর্নীতি দমন কমিশনে চিঠি দেব। সেই চিঠিতে সংস্থাটিকে আমরা তদন্ত করার জন্য অনুরোধ করব। এরপরে ধারাবাহিকভাবে প্রত্যেকটা ইস্যু যেটা আসছে সেটা আমরা জাতির কাছে তুলে ধরব এবং একই সঙ্গে দুদকে পাঠাব।’

দলের এই সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে সোমবার দুপুরে দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ‘উপদেষ্টা ও মন্ত্রীর টেলিফোন কনভারসেশনের বিষয়বস্তু’ ও ‘ফরিদপুরে ২ হাজার কোটি টাকার পাঁচারের বিষয়ে’ তদন্ত করতে দুর্নীতি দমন কমিশনে চিঠি নিয়ে যাবেন বলে জানান মহাসচিব।

তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করব দুদকের শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং আমরা দুর্নীতির যে বিষয়গুলো সংস্থাকে দিচ্ছি, সেগুলোর ওপরে সুষ্ঠু তদন্ত করে তা জাতির সামনে তুলে ধরবে এবং প্রয়োজনীয় আইনানুগ যে ব্যবস্থা আছে তা গ্রহণ করবে।’

‘দুর্নীতির বিষয় দুদক আমলে নিচ্ছে না’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দুদক অত্যন্ত সিনসেটিভ ইস্যুগুলোর বিষয় নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আমরা লক্ষ করেছি যে দুর্নীতি দমন কমিশনে একটু যারা কাজ করতে চান, তাদের স্টাফ অর্থাৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দুদকই ব্যবস্থা নেয়। কিছুদিন আগে দেখেছেন যে একজন কর্মকর্তা শরীফ সাহেবকে বদলি করা হয়েছে এবং পদাবনতি করা হয়েছে একটি বিশেষ দুর্নীতির মামলার তদন্ত করার কারণে।

‘আজকে পত্রিকায় আছে, দুর্নীতি দমন কমিশন তারা নিজেরাই দুর্নীতির যেসব বিষয়গুলো আসছে সেগুলো তদন্ত করে যে রিপোর্টগুলো আসছে সেগুলো তারা আমলে নিচ্ছে না এবং সেগুলোকে তারা ধামাচাপা দেয়ার ব্যবস্থা করছে।’

তিনি বলেন, ‘দুদকে বেশির ভাগ সরকারি আমলাকে নিয়োগ দেয়া হয় অথবা সাবেক আমলাদের নিয়োগ দেয়া হয়। তারা অত্যন্ত সচেতনভাবে চেষ্টা করেন সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা যারা আছেন তারা অথবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা যারা আছেন তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত যাতে না হয় এবং দুর্নীতির মধ্যে তারা যেন না আসেন।’

‘দুর্নীতির ওপর শ্বেতপত্র এখন হয়নি’

এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই মুহুর্তে আমাদের শ্বেতপত্র প্রকাশের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এটা এখন দরকার নেই। তবে সেটা (শ্বেতপত্র) সক্রিয় আলোচনার মধ্যে আছে, বিবেচনার মধ্যে আছে।’

সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল উপস্থিত ছিলেন।

পরে সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু দুদকের উদ্দেশে গুলশানের কার্যালয় থেকে রওনা হন।

এ বিভাগের আরো খবর