নীলফামারীর জলঢাকার দুই ভাই এরশাদ বিন এমদাদ ও ইকবাল বিন এমমাদের বাড়ির আঙিনায় শোভা পাচ্ছে একটি বিশালাকৃতির একটি কড়াই। হাতিকে পানি পান করানোর জন্য এই কড়াই তাদের দাদা কিনেছিলেন বলে জানিয়েছেন।
কড়াইটিকে সম্প্রতি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর নিদর্শনের স্বীকৃতি দিয়েছে। সেটিকে প্রশাসন সংরক্ষণের জন্য জাদুঘরে নিতে চাইলে তা দিতে রাজি হননি এরশাদ ও ইকবাল। এলাকার লোকজনও সেটি হাতছাড়া করতে নারাজ।
ওই কড়াই ৭ ফিট ব্যাসের। জলঢাকার ধর্মপাল ইউনিয়নের তহশিলদারপাড়া এলাকায় এরশাদ ও ইকবালের বাড়ির আঙিনায় শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে কড়াইটি।
এরশাদ বলেন, ‘আমার বাবা এমদাদুল হকের দাদা হাতি পালতেন। সে সময়ে নদীর পানি হাতিকে খাওয়াতে ভারতের শিলিগুড়ি থেকে কড়াই কিনে এনেছিলেন তিনি।
‘কড়াইটি ব্যক্তিগত, তাই নিজেরাই এটি সংরক্ষণ করতে চাই। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এটির স্বীকৃতি দিয়েছে। বাড়ির সামনে বাগান করব। সেখানে কড়াইটি আরও সুন্দরভাবে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে রাখা হবে।’
তার ভাই ইকবাল জানান, শত বছরের পুরোনো কড়াইটির এরইমধ্যে অনেক ক্ষয় হয়েছে।
স্থানীয় নূর আলম বলেন, ‘কড়াইটি প্রশাসন নিয়ে যেতে চেয়েছিল। তখন প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করা হয়। আমরা চাই কড়াইটি এলাকাতেই থাক। কারণ এটি দেখতে এখন বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষজন আসে।’
রহিদুল ইসলাম নামে আরেক প্রতিবেশী বলেন, ‘কড়াইটি এখন এলাকার জন্য একটি ইতিহাস। এত বড় কড়াই আগে কখনও দেখিনি। জমিদারি কড়াই এটি। শুনেছি পরিবারটি আগে হাতি পালত।’
রংপুর জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান হাবিবুর রহমান বলেন, ‘১০০ বছরের পুরোনো এটি। জাদুঘরে সংরক্ষণ করার কথা। এ কারণে প্রশাসনকে চিঠিও দেয়া হয়েছে। পুরাকীর্তি সংরক্ষণ ব্যক্তিগতভাবে করা যায় না।’