চুয়াডাঙ্গায় এক দোকানদারের বিরুদ্ধে শিশুকে খুঁটিতে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
দোকানদারের দাবি, তিনি টাকা চুরির সময় ওই শিশুকে হাতেনাতে ধরেছেন। তবে শিশুটি বলছে, এই দাবি সত্য নয়।
সদর উপজেলার দোস্ত গ্রামে মায়ের দোয়া ফ্যাশন হাউসে রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ফেসবুকের মাধ্যমে সোমবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হয়।
পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্র নিউজবাংলাকে বলে, ‘আমি দুপুরে টিফিনের সময় ওই দোকানে খাবার কিনতে যাই। তারা আমাকে চুরির অপবাদ দিয়ে দোকানের সামনের বাঁশের খুঁটির সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে। মারধরও করে। পরে আমার স্কুলের প্রধান শিক্ষক এসে আমাকে মুক্ত করে নিয়ে যান।’
প্রধান শিক্ষক মোমিন হোসেন জানান, বেঁধে রাখার খবর শুনে তিনি গিয়ে শিশুটিকে মুক্ত করেন। এরপর তার দেহ তল্লাশি করে কোনো টাকা পাননি।
মোমিন বলেন, ‘একজন দোকানদার টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে এভাবে একটা শিশুকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন করবেন আমি ভাবতেও পারি না। সে যদি কোনো টাকা নিত তাহলে তিনি আমাকে জানাতে পারতেন। প্রয়োজনে আমি ক্ষতিপূরণ দিতাম। বাচ্চাটাকে কেন নির্যাতন করা হলো? কারো কাছ থেকে এমন আচরণ কেউ আশা করে না।’
মুদি দোকানি আলী আহমেদের মেয়ে রোমানা খাতুনের দাবি, ‘আমি নিজে আমাদের টাকা রাখার কৌটাসহ ওই ছেলেকে ধরেছি। তাই তাকে বেঁধে সামান্য শাস্তি দিয়েছি যেন কেউ চুরির মতো অপরাধ করতে না পারে।’
এ বিষয়ে দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম লুৎফুল কবীর জানান, এ ঘটনায় এখনও কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।