বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিয়ে চূড়ান্ত করতে ডেকে ‘ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার আরও এক

  •    
  • ১১ এপ্রিল, ২০২২ ০০:৩৮

মামলার বরাতে জানা গেছে, ১ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ২১ বছর বয়সী শেরপুরের এক নারীকে বিয়ের কথা বলে শাহাদত হোসেন নন্দীগ্রামে নিয়ে আসেন। মাস খানেক আগে ওই নারীর বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন শাহাদত।

বগুড়ার নন্দীগ্রামে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় বিজয় নামে আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বগুড়া শহরের শহীদ খোকন পার্ক এলাকা থেকে রোববার বিকেল ৪টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২৪ বছরের বিজয় নন্দীগ্রাম উপজেলার কলেজপাড়ার বাসিন্দা। তিনি মামলাটির তিন নম্বর আসামি। এ নিয়ে ওই ঘটনায় চার আসামি গ্রেপ্তার হলেন।

নন্দীগ্রাম থানার তদন্ত পরিদর্শক আশরাফুল আলম গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিকেলে বগুড়া শহরের শহীদ খোকন পার্কের সামনে থেকে বিজয়কে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে থানা হেফাজতে রাখা আছে। সোমবার আদালতে পাঠানো হবে।

মামলার বরাতে জানা গেছে, ১ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ২১ বছর বয়সী শেরপুরের এক নারীকে বিয়ের কথা বলে শাহাদত হোসেন নন্দীগ্রামে নিয়ে আসেন। মাস খানেক আগে ওই নারীর বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন শাহাদত।

শাহাদত বিবাহিত এবং তার সম্পর্কে বিভিন্ন প্রতারণার খবর পেয়ে সে সময় বিয়ে নাকচ করেন ওই তরুণীর বাবা। বিয়ের সম্বন্ধ ভেঙে দিলেও শাহাদত ওই নারীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রাখতেন।

সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে আবার বিয়ের কথা চূড়ান্ত করতে তাকে শুক্রবার নন্দীগ্রামে ডাকেন শাহাদত।

ওসি জানান, শাহাদতের সঙ্গে ওই তরুণী প্রথমে কুন্দারহাট বাজারে যান। সেখানে চা খেয়ে সন্ধ্যার পর রিধইল গ্রামের দিকে রওনা দেন। কিন্তু ওই নারী যেতে না চাইলে তাকে জোর করে শাহাদত ধানের জমির আইল দিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘রাত সাড়ে ৯টার দিকে শাহাদত ওই নারীকে উপজেলার রিধইল গ্রামে নিয়ে যাওয়ার পথে কলেজপাড়ার মনির হোসেন, বিজয় ও রাকিবুল ইসলাম তাদের পথরোধ করে। এই যুবকরা হযরত আলী ও সুমন আলীর হয়ে কাজ করেন। পরে তারা দুই গ্রুপ হয়ে তরুণীকে সেখানে ধর্ষণ করেন।’

রাতে ওই তরুণী থানায় গিয়ে অভিযোগ করলে রাতেই শাহাদতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শনিবার সকালে হযরত ও সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওসি আনোয়ার দাবি করেন, হযরত ও সুমনের গ্রুপটির সম্পর্কে আগে থেকেই বিভিন্ন অভিযোগ আছে। তারা বিভিন্ন সময় মানুষকে জিম্মি করে অর্থ আদায় করতেন। সুদের ওপর টাকা দিয়ে মানুষকে জুলুম করার খবরও রয়েছে পুলিশের কাছে।

তিনি বলেন, ‘ওই নারী প্রথম দিকে খুব ভয় পেয়েছিলেন। ঠিক করে কিছু বলতে পারছিলেন না। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর বিস্তারিত জানান। মেয়েটির পরিবার খুব গরিব।’

অন্য আসামিদের ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।

এ বিভাগের আরো খবর