লালমনিরহাটে সুপারি চুরির অভিযোগে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগে মামলা হয়েছে। পুলিশ আসামি দীলিপ কুমারকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ জানায়, রোববার দুপুর ১২টার দিকে শিশুটিকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় থানায় মামলা করেছেন তার বাবা। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মামলার আসামি দীলিপ কুমারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামি প্রিয়নাথ ও তার ছেলে রবিন চন্দ্র পলাতক।
মামলায় বলা হয়, শনিবার সকাল ১০টার দিকে লালমনিরহাট সদরের হারাটী ইউনিয়নের হিরামানিক গ্রামে সুপারি চুরির অভিযোগে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রকে প্রথমে সিঁড়ি এবং পরে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করেন এলাকার প্রিয়নাথ, তার ছেলে রবিন চন্দ্র ও ভাতিজা দীলিপ কুমার।
শিশুটিকে গুরুতর আহত অবস্থায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করান তার বাবা।
শিশুটির বাবা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শনিবার বিকেলে বড় ছেলেকে বাড়িতে রেখে স্ত্রী ও ছোট ছেলেকে নিয়ে বাইরে যাই। সকাল ১০টার দিকে জানতে পারি বড় ছেলেকে সুপারি চুরির অভিযোগে গাছের সঙ্গে বেঁধে প্রিয়নাথ ও তার ছেলে রবিন চন্দ্র নির্যাতন করেন।
বাড়ি ফিরে দেখি ছেলে খুবই অসুস্থ। কানে শুনতে পায় না, কথাও বলতে পারে না, পায়ের ওপর নাকি পা দিয়ে খচিয়েছে। এ জন্য হাঁটতেও পারে না। সন্ধ্যায় হাসপাতালে ভর্তি করি। আমার বাচ্চার চিকিৎসা চলছে।’
শিশুটি বলেছে, ‘প্রিয়নাথের গাছের সুপারি চুরি হয়েছে। সে জন্য আমাকে প্রিয়নাথের ছেলে রবিন চন্দ্র বাড়িতে নিয়ে সিঁড়ির সঙ্গে বেঁধে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নির্যাতন করে। আমি এখন কানে শুনতে পাই না, হাঁটতে পারি না। দুজনে মাটিতে ফেলে পা দিয়ে খচিয়েছে। মাথায় লাঠি দিয়ে মেরেছে। আমি চুরি করি নাই।’
লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার কালী প্রসাদ সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শারীরিক নির্যাতনের শিকার ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমরা তার চিকিৎসা করছি। বর্তমানে সে মোটামুটি ভালো আছে। আশা করি দ্রুত সুস্থ হবে।’
এ ঘটনায় লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহা আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শিশু নির্যাতনের অভিযোগে দুপুরে মামলা হয়েছে। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মামলার ৩ নম্বর আসামি দীলিপ কুমারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার তাকে আদালতে তোলা হবে।’