সংস্কৃতি তথা জুম্ম জাতীয় জীবনধারাকে সংরক্ষিত করতে, নিরাপদ করতে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি সই করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা। সেই চুক্তি এখনও বাস্তবায়ন হয়নি বলেও মনে করেন তিনি।
রোববার সকালে রাঙ্গামাটি পৌরসভা মাঠ প্রাঙ্গণে বিঝু, বিষু, বিহু, সাংক্রান, সাংগ্রাইং, বৈসু উদযাপন কমিটির আয়োজনে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেছেন।
সন্তু লারমা বলেন, ’২৫ বছর অতিবাহিত হতে চলেছে। এ দীর্ঘ বছরের মধ্য দিয়ে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ আশায় আশায় জীবন অতিবাহিত করছে। প্রতিটি মুহূর্ত, প্রতিটি দিন, প্রতিটি রাত তারা এই আশায় অতিবাহিত করছে যে, তাদের জীবনে আবার নতুন করে পার্বত্য অঞ্চলের বুকে সূর্য উঠবে, এখানে পূর্ণিমা উপস্থিত হবে, মানুষের হাসি ফুটবে। কিন্তু বাস্তবে কি তাই...! আজকের পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ অধিকার হারা হয়ে নানা ধরনের চাপের মুখে তাদের জীবন অতিবাহিত করছে।’
আলোচনায় বিঝু, বিষু, বিহু, সাংক্রান, সাংগ্রাইং, বৈসু উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রকৃতি রঞ্জন চাকমার সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, সদস্য ঝর্ণা খীসা, সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক শান্তি বিজয় চাকমা, ৬ নম্বর বালুখালী ইউপি চেয়ারম্যান অমর কুমার চাকমা, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক পঞ্চানন ভট্টাচার্য।
আয়োজক কমিটি জানিয়েছে, রোববার সকাল থেকে শুরু হয়ে আগামী ১২ এপ্রিল বিকেলে শেষ হবে বিঝু উৎসবের বিভিন্ন কর্মসূচি।