বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কিশোরকে ইট-পাটকেল ছুড়ে খালে ডুবিয়ে হত্যা: পিবিআই

  •    
  • ১০ এপ্রিল, ২০২২ ২০:০৪

এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, পিবিআই ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর মামলার তদন্তভার নেয়। তদন্তে জানা যায়, দ্বীনকে হত্যায় জড়িত এলাকারই কয়েক যুবক। অভিযান চালিয়ে পরে গ্রেপ্তার করা হয় মুছা শেখ ও রমজান শেখকে।

খুলনার তেরখাদায় ৩ বছর আগে এক কিশোরকে হত্যার মামলার জট খোলার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

সংস্থাটি জানিয়েছে, সাঁতার কাটা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দ্বীন ইসলাম নামে ১১ বছরের ওই কিশোরকে হত্যা করা হয়েছিল খালে ডুবিয়ে।

নিজ কার্যালয়ে রোববার সংবাদ সম্মেলন ডেকে এই তথ্য দিয়েছেন পিবিআই খুলনার এসপি সৈয়দ মুশফিকুর রহমান।

নিহত দ্বীন ইসলাম তেরখাদা উপজেলার লস্কর গ্রামের আজিজুর রহমান শেখের ছেলে। সে এলাকার বিভিন্ন খালে বিলে মাছ ধরে তা বিক্রি করত। মাঝে মাঝে মৌসুমি ফলও বিক্রি করত।

এসপি মুশফিকুর বলেন, ‘২০১৯ সালের ২২ জুলাই দুপুরে দ্বীন ইসলামকে কোথাও খুঁজে না পাওয়া গেলে মাইকিং করে তার স্বজনরা। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে তার মৃতদেহ তেরখাদার মুলিশিয়া খালে পাওয়া যায়।

‘এ ঘটনায় নিহতের বাবা আজিজুর রহমান তেরখাদা থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেন। পরবর্তীতে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি আসলে প্রথম দিকে পরিবারের সদস্যরা মামলা করতে চায়নি। পুলিশ বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা করে। পরে মামলাটি পিবিআই খুলনায় পাঠায় আদালত।’

এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, পিবিআই ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর মামলার তদন্তভার নেয়। তদন্তে জানা যায়, দ্বীনকে হত্যায় জড়িত এলাকারই কয়েক যুবক। অভিযান চালিয়ে পরে গ্রেপ্তার করা হয় মুছা শেখ ও রমজান শেখকে। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

জবানবন্দির বরাতে এসপি মুশফিকুর বলেন, ‘ঘটনার দিন মুছা, রমজানসহ কয়েকজন মুলিশিয়া খালে গোসল করতে নামে। দ্বীনও সেখানে গোসলে নামে। তাদের মধ্যে সাঁতার কাটা নিয়ে প্রতিযোগিতা হয়। সেখানে হার-জিত নিয়ে মুছা ও রমজানদের সঙ্গে দ্বীনের তর্কাতর্কি হয়। এর এক পর্যায়ে ইট-পাটকেল ছুড়ে দ্বীনকে খালে ডুবিয়ে দেয় আসামিরা। তখন তার মৃত্যু হয়।’

মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও জানান পিবিআই কর্মকর্তা।

এ বিভাগের আরো খবর