বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘গুজব রটিয়ে’ ১৫ বাড়িতে হামলা, লুটপাট

  •    
  • ১০ এপ্রিল, ২০২২ ১৯:৫৮

এলাকার লোকজন জানান, শনিবার রাত ৮টার দিকে আমিনুল হাসপাতালে মারা গেছে বলে এলাকায় গুজব ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে চেয়ারম্যান রফিকের শতাধিক সমর্থক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আলমগীরের সমর্থকদের বাড়িঘরে নির্বিচারে হামলা চালান। এ সময় অন্তত ১৫ বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর-লুটপাট করা হয়।

ফরিদপুরের সালথায় এক ভ্যানচালককে হত্যার গুজব রটিয়ে প্রতিপক্ষের অন্তত ১৫টি বাড়ি ও একটি ইটভাটায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর-লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকায় এখনও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

পাল্টাপাল্টি হামলায় আহত দুই ভ্যানচালক হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া গ্রামে শনিবার সন্ধ্যায় হামলা শুরু হয়। গভীর রাতে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রোববার বিকেলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই এলাকায় দুই পক্ষে উত্তেজনা চলছিল। উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, যদুনন্দী ইউপি চেয়ারম্যান রফিক মোল্যা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মিয়ার সমর্থক দুই ভ্যানচালকের কথা-কাটাকাটি থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত।

স্থানীয়রা জানান, ভ্যানচালক আমিনুল মিয়া যদুনন্দী ইউপি চেয়ারম্যান রফিক মোল্যার সমর্থক। আর ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মিয়ার সমর্থক ভ্যানচালক সাজ্জাদ শেখ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খারদিয়া বাজার মোড়ে শনিবার সন্ধ্যায় ভ্যান রাখা নিয়ে চেয়ারম্যান রফিকের সমর্থক ভ্যানচালক আমিনুল মিয়ার সঙ্গে আলমগীরের সমর্থক ভ্যানচালক সাজ্জাদ শেখের কথা-কাটাকাটি হয়। কিছু সময় পর আলমগীর মিয়ার লোকজন বাজারে জড়ো হয়ে আমিনুলকে পিটিয়ে তার পা ভেঙে দেন।

এ সময় রফিকের সমর্থকরা ভ্যানচালক সাজ্জাদকে কুপিয়ে জখম করেন।

পাল্টাপাল্টি হামলায় আহত দুজনকেই স্থানীয়রা উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এলাকার লোকজন জানান, রাত ৮টার দিকে আমিনুল হাসপাতালে মারা গেছে বলে এলাকায় গুজব ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনা দেখা দেয়। আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীরের সমর্থকরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান।

একপর্যায়ে চেয়ারম্যান রফিকের শতাধিক সমর্থক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আলমগীরের সমর্থকদের বাড়িঘরে নির্বিচারে হামলা চালান। এ সময় অন্তত ১৫ বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর-লুটপাট করা হয়। আলমগীরের ইটভাটাও ব্যাপক ভাঙচুর করেন তারা।

যদুনন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর মিয়া বলেন, ‘ঘটনার দিন সন্ধ্যায় বাজারে ভ্যান রাখা নিয়ে আমার সমর্থক সাজ্জাদের সঙ্গে রফিকের সমর্থক আমিনুলের মারামারি হয়। এতে দুজনই আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।

‘রাত ৮টার দিকে রফিকের সমর্থকরা আমিনুলের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে আমার নিরীহ সমর্থকদের বাড়িঘরে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। তারা ঘরের ভেতর ঢুকে নারীদের সঙ্গেও খারাপ আচরণ করে। আমার ইটভাটায়ও হামলা-ভাঙচুর চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতি করেছে।’

যদুনন্দী ইউপি চেয়ারম্যান রফিক মোল্যা বলেন, ‘এটি একটি দুর্ঘটনা। আমিনুল নামে আমার এক লোক হামলায় মারা যাওয়ার খবরে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি দুঃখজনক। এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার আমিও চাই।’

ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা-সালথা সার্কেল) মো. সুমিনুর রহমান বলেন, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই এলাকায় ফের সংঘর্ষের আশঙ্কায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর