বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বছরে বাড়ছে ৩৫ হাজার শিশু

  •    
  • ১০ এপ্রিল, ২০২২ ১৭:৪৯

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘ক্যাম্প এলাকায় জন্ম হার আশঙ্কাজনক। সেখানে প্রতি বছর ৩৫ হাজার নতুন শিশু জন্ম নিচ্ছে বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। তাদের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন উদ্বুদ্ধ করতে পারে।’

কক্সবাজারের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রতি বছর ৩৫ হাজার নতুন শিশু জন্ম নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

সচিবালয়ে রোববার বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইন-শৃঙ্খলা সম্পর্কিত জাতীয় কমিটির চতুর্থ সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘ক্যাম্প এলাকায় আমরা দেখছি জন্ম হার আশঙ্কাজনক। সেখানে প্রতি বছর ৩৫ হাজার শিশু জন্ম নিচ্ছে বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন তাদের উদ্বুদ্ধ করতে পারে।

‘রোহিঙ্গাদের এখানে আশ্রয় নেয়ার ৫ বছর হয়ে গেছে। তাতে দেড় লাখ জনসংখ্যা কিন্তু এরই মাঝে বেড়ে গেছে। এই অবস্থাটা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকরা যাতে বাংলাদেশের পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে না পারে সে জন্য ইউএনএইচসিআরের ডাটাবেইজ ব্যবহার করা হবে।

‘যাদের চোখ ও আঙুলের ছাপ আমরা নিয়েছি তারা পাসপোর্ট পাচ্ছে না। আগেও কিছু রোহিঙ্গা এখানে ছিল, পরে কিছু পালিয়ে এসেছে। আমরা যতদূর পারছি, তাদের নজরে রাখছি। ইউএনএইচসিআরের কাছে তাদের ডাটা আছে। সে তথ্য নিয়ে আমরা পাসপোর্ট নেয়া বন্ধ করব।’

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চারপাশে ৮০ শতাংশ জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া দেয়ার কাজ শেষ হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ক্যাম্পের ভেতরে পুলিশ, এপিবিএন, র‍্যাব ও আনসার সার্বক্ষণিক টহল দিচ্ছে। সেটা আরও জোরদার করা হবে।

‘ক্যাম্পের বাইরে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র‍্যাবের টহল চলবে। প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করবে। অভিযান প্রয়োজন হলে সেনাবাহিনীও তাতে অংশ নেবে।’

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘উখিয়া ও টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হচ্ছে এবং তা চলমান থাকবে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চারপাশে কাঁটাতারের বেষ্টনী তৈরির কাজ আমরা সেনাবাহিনীকে দিয়েছিলাম। সেটার প্রায় ৮০ ভাগ শেষ হয়েছে। এখানে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার তৈরি হয়েছে, রাস্তা তৈরির কাজও শেষের দিকে। টাওয়ারে এপিবিএন থাকবে, রাস্তায় টহল দেবে। প্রয়োজন ও অনুমতি ছাড়া কেউ যেন ক্যাম্পের বাইরে না যেতে পারে সেটা নিশ্চিত করা হবে।

‘ক্যাম্প থেকে কতজন বের হয়ে গেছে, সে তথ্য দিতে পারবে ইউএনএইচসিআর। আমরা তাদের অনুরোধ করব। নিরাপত্তা বেষ্টনীর আর ২০ ভাগ কাজ শেষ হলে আমরা আরও কঠোর হব। অনুমতি ছাড়া কাউকেই আমরা বের হতে দেব না।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা যেটা অনুমান করছি, ক্যাম্পে মাদক মজুত করা আছে। এর মধ্যে আমরা কিছু ধরেও ফেলেছি। এর সঙ্গে যারা জড়িত তারা ধরা পড়বে।

‘ক্যাম্পের ভেতরে ও বাইরে যাতে মাদক কারবার না করতে পারে এ জন্য আমরা জোরদার ব্যবস্থা নিচ্ছি। নাফ নদ দিয়ে মাদক চোরাচালান রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমরা আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি।’

ছিনতাই নিয়ন্ত্রণে

দেশে ছিনতাইয়ের ঘটনা প্রায় শূন্যের কোটায় দাবি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশ যথাযথ ভূমিকা পালন করায় ছিনতাই কমে গেছে। ১০ বছর আগের কথা চিন্তা করলে পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। মাঝে মাঝে কয়েকটি ঘটনার কারণে মানুষ উদ্বিগ্ন হয়। এখন যারা ছিনতাই করছে তারা কেউ পার পাবে না।

‘করোনা পরিস্থিতিতে দুবছর সবকিছু স্থবির হয়ে গিয়েছিল। যখনই অর্থনৈতিক চাপ বাড়ে, তখনই ছিনতাইসহ অপরাধমূলক ঘটনা বেড়ে যায়। এখন যেটা হচ্ছে তা খুব সামান্য, সব ক্ষেত্রেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

এ বিভাগের আরো খবর