এখানে-সেখানে গড়ে ওঠা কারখানাগুলোকে এক জায়গায় আনতে বিসিক কাজ করছে বলে জানিয়েছেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। বলেছেন, ‘শিল্প-কারখানা স্থাপন করলেই হবে না, এর পরিবেশের উন্নয়ন করতে হবে। শিল্পবান্ধব পরিবেশ গড়তে হবে। আর বিভিন্ন স্থানে শিল্প-কারখানা না গড়ে সবগুলোকে এক জায়গায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে বিসিক কাজ করছে।’
বরিশাল বিসিক শিল্পনগরী পরিদর্শন শেষে রোববার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বিসিক। এর মধ্যে যারা উদ্যোক্তা হতে চান, তাদের ঋণসহ বিভিন্ন সহায়তা করা হচ্ছে। যারা চাকরি করতে চান, তাদের প্রয়োজনীয় ক্যাটাগরিতে প্রশিক্ষণ দিয়ে বিভিন্ন সংস্থায় চাকরির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শুধু দেশে নয়, বিদেশেও চাকরির সুযোগ হচ্ছে।’
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন কামাল আহমেদ মজুমদার। বলেন, ‘২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের কাতারে যাবে, যদি আমরা উদ্যোক্তা ধরে রাখতে পারি। সারা বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। যেদিকে তাকাবেন উন্নয়ন চলছে। তবে আমাদের কিছু বন্ধুরা রয়েছেন, তারা উন্নয়ন দেখেন না।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘একসময় আমাদের দেশ কৃষিভিত্তিক ছিল। আজ কৃষির পাশাপাশি আমরা উদ্যোক্তাও সৃষ্টি করছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উদ্যোক্তা সৃষ্টি করে তাদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাও দেয়া হচ্ছে। এই উদ্যোক্তারা নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে।
‘শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে যে শিল্প-কারখানা ও সংস্থাগুলো রয়েছে, সেগুলো পরিদর্শন করে আমরা সমস্যাগুলো শনাক্ত করছি। তারপর সে সমস্যাগুলো সমাধানেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি। দীর্ঘদিন ধরে বরিশাল বিসিক শিল্পনগরী পরিদর্শনের কথা থাকলেও তা পারিনি, আজ এ সুযোগ হয়েছে। এখানে যে সমস্যাগুলো রয়েছে, সেগুলো আলাপ-আলোচনা করে সমাধান করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘আজ রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধে বোধহয় এক-দেড় লাখ শরণার্থী ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে, সেটা নিয়ে আজ হাউকাউ শুরু হয়ে গেছে। বাংলাদেশে যে বছরের পর বছর মিয়ানমারের কয়েক লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিচ্ছে, তাদের ভরণ-পোষণ দিয়ে রাখা হচ্ছে। সেটা নিয়ে আজ বিশ্বে কোনো কথা বলা হয় না। মানবাধিকারও কথা বলে না।’
বরিশাল বিসিক শিল্পনগরী পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিসিক শিল্প সমিতির সভাপতি ও ফরচুন গ্রুপ অফ কোম্পানির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান।