বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জন্ম সনদ পেতে হয়রানি করলে কঠোর ব্যবস্থা

  •    
  • ১০ এপ্রিল, ২০২২ ১৬:৪২

তাজুল ইসলাম বলেন ‘জন্ম নিবন্ধনটা ইদানিংকালে খুব বার্নিং ইস্যু হিসেবে আমরা দেখছি। তারপরও কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জন্ম নিবন্ধন প্রাপ্তি কিভাবে আরও সহজ করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করতেই আজকে আমরা বসেছি। যাতে কাউকে হয়রানি করতে না পারে।’

জন্ম সনদ পেতে হয়রানির শিকার হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

সচিবালয়ে রোববার অনলাইনে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিষয়ে এক সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘অটোমেশন হয়ে মানুষ যেভাবে জন্মনিবন্ধন পাচ্ছে সেখানে অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে, সেগুলো আমরা চিহ্নিত করেছি। সেটি ওভারকাম করতেই আজকের সভা করা। তবে একটি সভা করলেই সব সমাধান হয়ে যাবে পৃথিবীর কোথাও সেটি নেই। জন্ম নিবন্ধন প্রাপ্তিতে জনগণকে কোনো ধরনের হয়রানি করা হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

‘জন্ম নিবন্ধনটা ইদানিংকালে খুব বার্নিং ইস্যু হিসেবে আমরা দেখছি। তারপরও কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জন্ম নিবন্ধন প্রাপ্তি কিভাবে আরও সহজ করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করতেই আজকে আমরা বসেছি। যাতে কাউকে হয়রানি করতে না পারে।’

তিনি বলেন, ‘জন্ম নিবন্ধন হলো একজন মানুষের মূল ভিত্তি। গুড গভর্নেন্সের কমিটমেন্ট ফুলফিল করতে হলে এবং আদর্শ সমাজ গড়ে তুলতে হলে জন্ম নিবন্ধনকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে আসতে হবে।

‘জন্ম নিবন্ধনের সঙ্গে সঙ্গে যতগুলো প্রয়োজনীয়তা আছে সবগুলো যখন এরমধ্যে যুক্ত হবে তখন যার যখন যেটা দরকার সেটা পাবে। দুর্নীতিমুক্ত কোনো দেশ নাই, কমবেশি কিছু দুর্নীতি আছে। কিন্তু বিশাল আকারে দুর্নীতি সারাবিশ্বে এই মুহূর্তে খুবই কম।’

সার্ভার সংক্রান্ত জটিলতার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে সার্ভার নতুনভাবে রেশনালাইজেশন হয়েছে। সেজন্য সার্ভার কিছুদিন সিস্টেম শাটডাউন ছিল। এখন চালু হয়েছে। এখন কোনো কমপ্লেইন আছে কিনা আমি নিশ্চিত না।

‘এখানে অনেক টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। ইউনিসেফ আমাদের আর্থিকভাবে সহায়তা করেছে। তারা নিজেরাই দেখভাল করছে যাতে সুন্দরভাবে এটি পরিচালনা করা যায়।’

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ইদানিং আমরা সব বিষয়ে অটোমেশনের দিকে যাচ্ছি। কিন্তু জন্ম নিবন্ধনে এখন অসংখ্য ভুল থাকে। তাই বলে এটা বলা যাবে না যে তিনি (জন্ম নিবন্ধনকারী) অশিক্ষিত বলে ভুল দিয়েছে। আপনি (কর্মকর্তা) তো শিক্ষিত। তিনি অশিক্ষিত বলেই তো আপনাকে এখানে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

‘রাষ্ট্রকে সার্ভিস দেয়ার জন্য তো আপনি কমিটমেন্ট দিয়ে বসেছেন, আমি কমিটমেন্ট দিয়েছি। আমি আমার দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারব না।’

তিনি বলেন, ‘জন্ম নিবন্ধনে অসংখ্য ভুল। এই যে লোয়ার এনটিটি হলো ইউনিয়ন পরিষদ। সেখানকার মেম্বারদের এই কাজে নিয়োগ করা যাবে কিনা জানি না। একটি ইউনিয়নে ২৫ হাজার লোক, সেখানে অনেক দূরত্বও রয়েছে।

‘অনেকে ইচ্ছাকৃত এ সমস্ত জায়গায় যেতে পারে না। এখানে একটি ম্যাকানিজম থাকতে পারে এখানে কার জন্ম হবে সঙ্গে সঙ্গে সেটি নিবন্ধন করা। সেক্ষেত্রে চেয়ারম্যানদের অ্যাকটিভ হতে হবে। চেয়ারম্যানরা যখন মাসিক মিটিং করবে তখন প্রত্যেকটি নাগরিকের খবর রাখতে হবে, কে জন্মগ্রহণ করেছে, কে মারা গেছে। সেক্ষেত্রে জানানোর জন্য ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা নির্ধারণ করা যেতে পারে।’

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘আমি কয়েকদিন আগে দুবাই গিয়েছি। সেখানে আমাদের কনস্যুলেট অফিসে গিয়ে দেখলাম একটি সিরিয়াস কমপ্লেইন যে, মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে। তাদের নামের একটু এদিক-সেদিক হয়ে যায়। আমাদের মানুষজন কিছু ভুল করে ফেলে প্রথমে সেটি গুরুত্ব দেয় না, পরে সেটি গুরুত্ব দেয়। এই সমস্যার কিভাবে সমাধান করা যায় সেটি দেখতে হবে। আপনি আমি সাফার করছি না, কেউ কেউ তো করছে।

‘এরা কিন্তু অসহায় মানুষ, বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে। সাধারণ একটি ভুলের জন্য হয়রানির শেষ নাই। আমি যদি তাকে হয়রানি থেকে মুক্তি দিতে পারি তাহলে তো সে তার নিজের কাজে ঠিকভাবে মনোনিবেশ করতে পারে। হয়ত তিনি একটি চাকরি পেয়েছেন সেখানে যোগ দিতে পারছেন না এই ভুলের জন্য। হয়ত এক সপ্তাহ বা ১৫ দিন তাকে ঘুরাচ্ছে। এদিকে গুরুত্ব দিতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর