দেশে এখন কোনো হাহাকার নেই, দুর্ভিক্ষ নেই বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেছেন, ‘মিডিয়া খুললেই কিছু বরেন্দ্র অর্থনীতিবিদ ও আমাদের বিরোধী ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব সারা দিন ভাঙা রেকর্ড বাজাচ্ছেন দেশ ডুইবা গেল, মানুষ না খাইয়া মরতেছে। মনে হয় যেন একটা দুর্ভিক্ষ চলতেছে।
ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের চরমনশা গ্রামের সবুজ বাংলা কৃষি খামারে রোববার দুপুরে সমন্বিত ফল বাগান ও পেঁয়াজের মাঠ পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে কোনো দুর্ভিক্ষ চলছে না। মানুষের কষ্ট হচ্ছে, সেটা আমরা স্বীকার করি। সবজিসহ কোনো কোনো জিনিসের দাম বেশি, কিন্তু দেশে কোনো হাহাকার নেই, কোনো মানুষ না খেয়ে নেই।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘এ বছর সরকারকে ২৮ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দিতে হবে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে টিএসপির দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পটাশিয়ামের দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকা। শুধু শেখ হাসিনা দেশে এত বড় প্রতিকূলতার মধ্যে এত দাম বাড়ার পরও এক টাকা সারের দাম বাড়ানো হয়নি। আমরা কৃষকদের ফ্রিতে বীজ দিচ্ছি। বর্তমান সরকার যেই প্রণোদনা দিয়েছে পৃথিবীর ইতিহাসে এমন প্রণোদনা কোনো দেশ দেয়নি।’
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘ভোলার মাটি উর্বর। এখানে আমাদের বিজ্ঞানীরা ধান, পেঁয়াজ বেগুন, আম, লিচুসহ বেশ কিছু ফসলের নতুন নতুন জাত আবিষ্কার করেছেন। সেই জাতের উৎপাদনশীলতা বেশি। সেই ফসল যদি সফলভাবে ফলানো যায়, তবে কৃষক লাভবান হবেন। দেশের উৎপাদন বাড়বে, পাশাপাশি বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে না।
‘ভোলায় মাটিতে আবিষ্কৃত সব নতুন জাতের ফসল ভোলাসহ সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে আমরা একটি পরিকল্পনা নিয়েছি। আশা করি, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে দেশে ফসলের ঘাটতি থাকবে না।’
মাঠ পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি সচিব সায়েদুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, ভোলা জেলা প্রশাসক তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরীসহ অনেকে।