খুলনায় কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য বাড়ায় উদ্বেগ জানিয়েছেন খুলনা-৬ আসনের এমপি আক্তারুজ্জামান বাবু। তিনি বলেছেন, ‘সমাজে কিশোর গ্যাংয়ের অপরাধ বেড়ে গেছে। এর পেছনে মাদকের প্রভাব রয়েছে। মাদক নির্মূলে সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।’
জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির এপ্রিল মাসের সভায় রোববার দুপুরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি স্কুল-কলেজ এলাকার দোকানে সিগারেট বিক্রি বন্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ ও প্রশাসনসহ সবার প্রতি আহ্বান জানান।
সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার বলেন, ‘মাদক চক্রের শক্ত নেটওয়ার্ক ভেঙে দেয়ার জন্য পুলিশ অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে। মাদক বিস্তারের কারণে সমাজে অপরাধের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।’
এ সময় তিনি মাদক, সন্ত্রাস, চুরি, ধর্ষণ ও নাশকতা নিমূর্লে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামান তালুকদার। তিনি বলেন, ‘মাদক নির্মূলের জন্য টাস্কফোর্স গঠন করে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে হবে।’ মাদকের মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে সরকারি আইনজীবীদের আরও কৌশলী হওয়ার পরামর্শ দেন জেলা প্রশাসক।
সভায় খুলনা সিভিল সার্জন সুজাত আহমেদ বলেন, ‘করোনায় মৃত্যুহার বর্তমানে শূন্যতে নেমে এসেছে। একই সময়ে করোনার শনাক্তের হারও কমেছে।
‘খুলনা বিভাগে প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ মিলে মোট ৪২ লাখ ২৬ হাজার ৭৩০ জনকে করোনার ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমায় স্বাস্থ্যবিধি মানা ও মাস্ক পরায় অবহেলার সুযোগ নেই। মসজিদসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে মাস্ক পরতে হবে।’
সভায় খুলনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পুলক কুমার মণ্ডল বিগত মাসে খুলনা জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তুলে ধরেন। তিনি জানান, খুলনা জেলায় মার্চে ১৫৭ মামলা হয়েছে, যা ফেব্রুয়ারিতে জেলায় হওয়া মামলা থেকে ৩২টির বেশি। এ ছাড়া খুলনা মহানগরী অধিক্ষেত্রে মার্চে ১৪৫টি মামলা হয়েছে, যা গত ফেব্রুয়ারিতে হওয়া মামলা থেকে পাঁচটি কম।