বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অর্থ আত্মসাৎ: আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ পুনঃতদন্তের নির্দেশ

  •    
  • ১০ এপ্রিল, ২০২২ ১৬:১৩

আইনজীবী আশরাফুল ইসলাম জানান, টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারের সহকারী ভূমি কমিশনারের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত করা হয়। তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়, প্রকল্পের সদস্য না হয়েও প্রকল্পের টাকা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের নিজ অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের বিষয়টি সত্য। নিম্নমানের ও স্বল্পমূল্যের সোলার লাগানো হয়েছে এবং অবশিষ্ট টাকায় বিভিন্ন কাজ হয়েছে বললেও কী কাজ হয়েছে তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। প্রকল্পটিও সন্তোষজনকভাবে সম্পন্ন হয়নি।

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম শিবলী সাদিকের বিরুদ্ধে ২৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পুনঃতদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

এ-সংক্রান্ত জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মামুন মাহবুব। তার সঙ্গে ছিলেন আশরাফুল ইসলাম আশরাফ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

এম শিবলী সাদিকের নাম দুর্নীতি মামলার অনুসন্ধান থেকে বাদ দেয়া কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে গত বছরের ৪ অক্টোবর রুল জারি করে হাইকোর্ট। রোববার পুনঃতদন্তের নির্দেশ দিয়ে রুলের নিষ্পত্তি করে আদালত।

টেস্ট রিলিফ (টিআর) ও কাজের বিনিময়ে টাকার (কাবিটা) ২৭ লাখ টাকা এম শিবলী সাদিক আত্মসাৎ করেছেন উল্লেখ করে ২০১৭ সালে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর বিষয়টি অনুসন্ধানে নামে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অনুসন্ধান শেষে ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি শিবলী সাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করে দুদক।

দুদকের অনুসন্ধান থেকে শিবলী সাদিকের নাম বাদ দেয়ার বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী এম আশরাফুল ইসলাম।

আইনজীবী আশরাফুল ইসলাম জানান, দেলদুয়ারের সহকারী ভূমি কমিশনারের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত করা হয়। তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়, প্রকল্পের সদস্য না হয়েও প্রকল্পের টাকা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের নিজ অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের বিষয়টি সত্য। নিম্নমানের ও স্বল্পমূল্যের সোলার লাগানো হয়েছে এবং অবশিষ্ট টাকায় বিভিন্ন কাজ হয়েছে বললেও কী কাজ হয়েছে তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। সর্বোপরি সোলার প্যানেল স্থাপন প্রকল্পটি সন্তোষজনকভাবে সম্পন্ন হয়নি বলে তদন্ত কমিটির কাছে প্রতীয়মান হয়।

আইনজীবী বলেন, ২০১৬ সালের তদন্ত রিপোর্টে তার বিরুদ্ধে এমন রিপোর্ট থাকা সত্ত্বেও দুদকের অনুসন্ধান থেকে শিবলী সাদিকের নাম বাদ দেয়া হয়। এ কারণে আমি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হই।

এ বিভাগের আরো খবর