দেশের দুই প্রধান নগরী ঢাকা ও চট্টগ্রামের মধ্যে ইলেকট্রিক ট্রেন চালুতে আগ্রহ দেখিয়েছে স্পেন। ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে পটুয়াখালীর পায়রা পর্যন্ত নতুন রেলপথ নির্মাণের বিষয়েও আগ্রহ দেখিয়েছে ইউরোপের দেশটি।
রোববার রেল ভবনে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই আগ্রহের কথা জানান বাংলাদেশে দেশটির রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিস্কো বেনিতেজ।
বৈঠকে স্পেনের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ রেলে ইঞ্জিন সরবরাহসহ বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন বলে রেল মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
জানানো হয়, স্পেনের টালগো কোম্পানি বাংলাদেশের বিদ্যমান লাইনে উচ্চগতির ট্রেন পরিচালনা করা সম্ভব কি না, সে বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের প্রস্তাব দিয়েছে। এ বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা চেয়েছে রেলওয়ে।
স্পেনের টালগো কোম্পানি মূলত ডিজেল, ইলেকট্রিক এবং উভয় মোডের হাই স্পিড ট্রেন ডিজাইন ও প্রস্তুত করে থাকে। গত ১ ডিসেম্বর বাংলাদেশের রেলপথমন্ত্রী স্পেনে কোম্পানিটির কারখানা পরিদর্শন করেন।
এর আগে এই পথে সরকার বুলেট ট্রেন চালু করার কথা জানিয়েছিল। তবে প্রাথমিক এক সমীক্ষা শেষে সে পরিকল্পনা থেকে সরে আসে সরকার।
মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, ‘মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে লোকোমোটিভ সরবরাহ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ ছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রামে ইলেকট্রিক ট্রাকশন করার বিষয়ে আগ্রহ দেখান। ভাঙ্গা থেকে পায়রা পর্যন্ত নতুন রেলপথ নির্মাণের বিষয়েও তারা আগ্রহী। রেলের উন্নয়নে স্বল্প সুদে ঋণ দিতে স্পেন সরকার আগ্রহী বলে রাষ্ট্রদূত জানান।’
রেলওয়েতে বিনিয়োগে স্পেনের আগ্রহের জন্য ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী। এ জন্য আন্তর্জাতিক বিভিন্ন টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের পরামর্শ দেন তিনি। বলেন, একটি দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সরকার রেলওয়েকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
‘আমাদের দেশ ব্রডগেজ ও মিটারগেজ দ্বারা দুই ভাগে বিভক্ত। আমরা সব দেশকে ব্রডগেজের আওতায় আনার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি’- বলেন নূরুল ইসলাম সুজন।
বৈঠককালে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন কবীর, রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (রোলিং স্টক) মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) কামরুল আহসান উপস্থিত ছিলেন।