সিলেটে রোববার থেকে ডাকা কর্মবিরতি শুরুর আগেই স্থগিত করেছে জেলা সড়ক পরিবহন-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সিলেট কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসে শনিবার বিকেলে কর্মবিরতি স্থগিতের ঘোষণা দেয়া হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে বিআরটিএর সিলেট কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দেয় সড়ক পরিবহন শ্রমিক নেতারা।
জেলা সড়ক পরিবহন-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি ময়নুল ইসলাম বলেন, ‘বিআরটিএ কর্মকর্তারা আমাদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তাদের আশ্বাসে আমরা কর্মবিরতি স্থগিত করেছি।’
পরিবহন শ্রমিক নেতাদের অভিযোগ, বিআরটিএর সিলেট কার্যালয়ের কর্মকর্তা মো. সানাউল হক ও রেকর্ড রুমের কর্মচারী মো. দেলোয়ার ঘুষ ছাড়া নির্দিষ্ট সময়ে কোনো গাড়ির কাগজপত্র বা ড্রাইভিং লাইসেন্স দেন না। ঘুষের জন্য তারা পরিবহন-শ্রমিকদের নানা রকম হয়রানি করেন। বারবার তাদের প্রত্যাহারের দাবি জানানো হলেও কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দেয়া হয়।
সানাউলের দাবি, ‘পরিবহন-শ্রমিক নেতারা ভুল ও মিথ্যা কথা বলছেন। একটি ছোট ঘটনাকে ইস্যু করে তারা কর্মবিরতি ডাকেন। গত মঙ্গলবার শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি ময়নুল ইসলামের ছোট ভাই অন্য আরেকজনের সিএনজিচালিত অটোরিকশার মালিকানা বদলসংক্রান্ত কাজে বিআরটিএ কার্যালয়ে এসেছিলেন। সেখানে বিক্রির রসিদসহ কিছু জায়গায় আগের মালিককে সই করতে হয়।
‘যখন তিনি সই করেন, তখন দুই জায়গায় দুই ধরনের সই দেন। এ নিয়ে কথার জের ধরে সভাপতির ছোট ভাই ক্ষিপ্ত হন। এর জেরে বুধবার শ্রমিক সংগঠনের অনেক নেতা এসে আমাদের সঙ্গে বাজে আচরণ করেন। একপর্যায়ে তারা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে কার্যালয়ের সামনে সভা করেন।’